সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

লকডাউনের সিদ্ধান্ত হেমায়েতপুর থেকে আসছে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সরকারি সিদ্ধান্তগুলো সবই যেন পাবনার হেমায়েতপুর থেকে আসছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের এই ‘লকডাউন লকডাউন খেলা’ জনগণের সঙ্গে এক মর্মান্তিক তামাশা। প্রথমে লকডাউন, তারপরে কঠোর লকডাউন, পরে শিথিল লকডাউন, ঈদের এক দিন পর থেকে আবার শিল্প-কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা করে আরও কঠোর লকডাউন- এসব সিদ্ধান্ত কে দিচ্ছে? কোত্থেকে আসছে? আসলে স্বাস্থ্য খাতের চরম দুর্নীতি ও লুটপাটের বিষয়টি ঢাকতেই এই লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। স্থায়ী কমিটির উদ্ধৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল অবিলম্বে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণের সুনির্দিষ্ট ‘রোডম্যাপ’ জনগণের সামনে প্রকাশের দাবি জানান।

দেশের জেলা হাসপাতালগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় বেড, অক্সিজেন, আইসিইউ বেড বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গাছের তলা, অ্যাম্বুলেন্সে অথবা ভ্যানের ওপর রোগীর চিকিৎসার অমানবিক দৃশ্য কি মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বা উন্নয়নের মডেল বাংলাদেশের ছবি দেখায়?

২০-দলীয় জোট ছেড়ে আসা জমিয়ত নেতাদের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শরিয়া আইনে বিশ্বাস করি না, এটা ঠিক নয়। শরিয়া আইনের বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার করে বলা আছে, আমরা কখনো শরিয়া বিরোধী কোনো আইন পাস করব না। আমরা যখন সরকারে ছিলাম সেটা কখনো করিনি। এ সময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ছাড়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, রাজনীতি হচ্ছে ভাঙা-গড়ার খেলা। জমিয়ত নেতারা রাজনৈতিক চাপে আছেন। মামলা-মোকদ্দমার প্রচন্ড রকমের চাপ রয়েছে তাদের ওপর। চাকরি চলে যাবে, তাদের বেশির ভাগই মাদরাসায় চাকরি করেন। তারা টিকে থাকতে পারছেন না, জোট ছেড়ে যেতেই পারেন। তবে যাওয়ার সময় সত্য কথাগুলো বলে যাওয়াই ভালো। অযথা অন্যকে দোষারোপ করে একটা নজির সৃষ্টি করতে চান, এটা ঠিক নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর