মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

খাতুনগঞ্জে মসলার বাজার স্থিতিশীল

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

খাতুনগঞ্জে মসলার বাজার স্থিতিশীল

চট্টগ্রামের বিখ্যাত পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ-চাক্তাই। এ বাজারে পাইকারিতে মসলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও লকডাউনের অজুহাতে খুচরা বাজারে বেশি দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানি ঈদের কারণে মসলার চাহিদা বাড়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার আশায় দাম বাড়িয়েছেন- এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে খুচরা বাজারে দাম বেশি থাকায় প্রতিনিয়ত ঠকছেন ক্রেতারা। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারেন সে জন্য বাজার মনিটরিং করারও পরামর্শ দিয়েছেন আড়তদাররা। এতে প্রশাসনও কঠোর নজরদারিতে থাকবে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও আসন্ন কোরবানিসহ বিভিন্ন কারণে কঠোর লকডাউন তুলে দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহের জন্য। কিন্তু কঠোর লকডাউন উঠিয়ে দিলেও চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের সেই জৌলুস এখনো দেখা যাচ্ছে না। চট্টগ্রামের বিখ্যাত পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, কোরবানিগঞ্জ ও আছাদগঞ্জে একসময় প্রতিদিনই হাজার কোটি টাকার ওপরে ব্যবসা হতো। করোনা পরিস্থিতির কঠোর লকডাউনসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে শত কোটি টাকার ব্যবসা করতেও কষ্ট হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সব মিলিয়ে কোরবানির ঈদবাজারের এই ভরা মৌসুমে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জ, হালিশহর, ঈদগাসহ বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকান ঘুরে দেখা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এরপরও খুচরা বাজারে দারুচিনি থেকে শুরু করে লবঙ্গ, এলাচ, ধনিয়া, জিরা, হলুদ, আদা, তেজপাতাসহ সব ধরনের মসলার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের মসলা মান ও প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার থেকে পাইকারি বাজারে লবঙ্গ ৯৮০ টাকা, দারুচিনি ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা, এলাচ ১ হাজার ৯০০, গোলমরিচ ৪৪০, জিরা ২৬০, দেশি মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি জায়ফল ৭০০ টাকা, কিশমিশ ২০০, আলুবোখারা ৪৮০, চিনাবাদাম ১০০, কাঠবাদাম ৫৭০, কাজুবাদাম ৫৭০ টাকা, পেস্তাবাদাম ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি লবঙ্গ ১ হাজার টাকায়, দারুচিনি ৩২০, এলাচ ২ হাজার, গোলমরিচ ৪৮০, ধনিয়া ৮০ ও জিরা ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং ভারতীয় মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

মুরাদপুরের করিম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউনের সময় বাড়তি দামে মাল কিনতে হয়েছে।

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘পর্যাপ্ত পণ্যের মজুদ রয়েছে। নেই কোনো ধরনের প্রভাবও। মসলার দামও কমে গেছে পাইকারিতে। পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও আড়তে এসে চাহিদামতো মাল কিনতে পারছেন।’ ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ে সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। করোনা ও লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষের সব ধরনের আর্থিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ সময় পণ্যের দাম বাড়ানো উচিত নয়।

সর্বশেষ খবর