শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সিলেটে চেকপোস্টে থামালেই ‘জরুরি’ অজুহাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদ পরবর্তী ১৪ দিনের লকডাউনের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে গতকাল। লকডাউনের শুরুর আগের দিনগুলো থেকে গতকাল সিলেটের রাস্তাঘাটে জনসমাগম ও যান চলাচল ছিল তুলনামূলক বেশি। তবে রাস্তায় পুলিশও ছিল কঠোর। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া লোকজনকে  চেকপোস্টে আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। তবে চেকপোস্টে যানবাহন আটকানোর পরই ‘জরুরি’ কাজের অজুহাত দিয়ে যাত্রীরা পার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। লকডাউন বাস্তবায়নে সিলেট নগরীর প্রবেশদ্বার ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রায় অর্ধশত চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। যানবাহন আসলেই তারা আটকে যাত্রী ও চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জানতে চাইছে লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ। এ সময়  বেশিরভাগ যাত্রীই পুলিশের জেরার মুখে ‘জরুরি’ কাজের অজুহাত দেখান। পুলিশ জিজ্ঞাসা করলেই কেউ বলছেন হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি। পুলিশকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রও বের করে দেখাচ্ছেন। কেউ আবার আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু, ব্যাংকিং কাজ ও টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার অজুহাতও দেখাচ্ছেন।

 তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যাত্রীরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েই এসব অজুহাত দেখাচ্ছেন। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার ঘোষিত লকডাউনকালীন কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্থানে ৪৬টি চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া সব থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের ৯৭টি টহল টিম রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি আরও জানান, চেকপোস্টগুলোতে গাড়ি থামালে জরুরি নানা কাজের অজুহাত দেখাচ্ছেন মানুষ। উপায়ন্তর না পেয়ে অনেককে ছেড়ে দিতে হচ্ছে। আবার যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে পুলিশ মামলাও দিচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর