শিরোনাম
শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রোগীর ‘স্রোত’ চট্টগ্রামের সরকারি দুই হাসপাতালে

শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখেও চলছে চিকিৎসা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা। এই দুই ঘণ্টায় আসে অন্তত ১০ জন রোগী। এর মধ্যে চারজন করোনা পজিটিভ এবং ছয়জন উপসর্গ নিয়ে। সবাইকেই ভর্তি করা হয়েছে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে। অভিন্ন চিত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এখানেও প্রতিটি মুহূর্তেই সাইরেন বাজিয়ে রোগী নিয়ে আসছে অ্যাম্বুলেন্স। জরুরি বিভাগে এসেই শুরু হয় রোগীর স্বজনদের দৌড়াদৌড়ি। এ ছাড়া বেসরকারি সাত হাসপাতালেও আছে রোগীর চাপ।  চট্টগ্রামে বড় পরিসরে সরকারি এ দুই হাসপাতালেই চলছে করোনা রোগীর চিকিৎসা। দুই হাসপাতালেই স্রোতের মতো রোগী আসছে প্রতিদিন। দিন-রাত সমানেই আসছে রোগী। প্রতি ঘণ্টায় আসছে করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গের রোগী। শয্যা না পেয়ে মেঝেতেও চলছে চিকিৎসা। চট্টগ্রামে বর্তমানে সংক্রমণ হার ৩৯ শতাংশ। জানা যায়, চমেক হাসপাতালে করোনা উপসর্গের রোগীদের ইয়েলো জোন এবং আক্রান্ত রোগীদের রেড জোনে চিকিৎসা চলছে। করোনা রোগীদের জন্য আছে ১০টি আইসিইউ। এর মধ্যে দুটি এইচডিইউ বা হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট। আছে মোট ২০০ সাধারণ শয্যা। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৫০ জনের বেশি রোগী। তবে ২৬ জুলাই হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হয় ৭৬০ জন, ২৭ জুলাই ভর্তি হয় ৭৭০ জন, ২৮ জুলাই ৫২০ জন ও ২৯ জুলাই ৪১০ জন। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ২৭৬ জনকে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রতিদিন নতুন করে গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ জন। এখানে চলছে ১৫০ সাধারণ শয্যা এবং ১৮টি আইসিইউ শয্যায় করোনা রোগীর চিকিৎসা। তবে বৃহস্পতিবার নতুন করে ৮টি এইচডিইউ এবং ১৮টি সাধারণ শয্যা যুক্ত করা হয়েছে। জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রূপা দত্ত বলেন, ভোর থেকে সকাল-বিকাল এমনকি গভীর রাতেও রোগী আসছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী আসছে। সবাইকে শয্যা দিতে হিমশিম খেতে হয়। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ প্রকট আকার ধারণ করেছে।

 প্রতিদিনই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগী ভর্তি হচ্ছে স্রোতের মতোই। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে। ইতিমধ্যে সাধারণ ও এইচডিইউ শয্যাও বাড়ানো হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ৮১ হাজার ২১৭ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।   

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর