শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই খুলনার হাটবাজারে

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

লকডাউনে খুলনাঞ্চলে শহর এলাকায় কড়াকড়ি থাকলেও শহরতলি ও গ্রামে, হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। বিশেষ করে পাইকারি চিংড়ি মাছ ও সবজির বাজারে ৯০ শতাংশ মানুষই মাস্ক ব্যবহার করেন না। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। গতকাল সরেজমিন খুলনার গল্লামারী ও বাগেরহাটের ফয়লায় চিংড়ি ও সাদা মাছ বিক্রির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায় মাস্ক ব্যবহার বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা রয়েছে বেশির ভাগ মানুষের। দূর-দূরান্ত থেকে চিংড়ি, সবজি, হাঁসমুরগি ও দুধ বিক্রি করতে এখানে আসেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে গ্রাম থেকে আসা মানুষের সংস্পর্শে থাকেন শহরের মানুষ। সংক্রমণে ঝুঁকি থাকলেও মাস্ক ব্যবহার নিয়ে অনীহার কথা খোলামেলা জানালেন বাজারে আগতরা।তাদের অনেকের মতে, গ্রামে করোনা নেই। কারও মাস্ক ব্যবহার করলে দম বন্ধ হয়ে যায়। কেউ বা মাস্ক বাড়িতে ফেলে এসেছে কিংবা পকেটে নিয়ে ঘুরছেন। তবে বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেন ফয়লা মৎস্য বাজারের সাধারণ সম্পাদক বিপুল রায়। তিনি বলেন, দূরত্ব বজায় রেখে মাছ কেনার কথা বলেছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও বলেছি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে লোক আসে। তাদের অনেকে মাস্ক ব্যবহার করে, অনেকে করে না।

এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে শহর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও দোকানপাট বন্ধ নিয়ে সারা দিন চলে চোর-পুলিশ খেলা। উপজেলা সদরের হাটবাজার থেকে শুরু করে খুলনা নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা, সাতরাস্তার মোড় এলাকায়ও দোকানপাট খোলা রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ দেখলে দোকানপাট বন্ধ হচ্ছে, আবার একটু পর দোকান খুলে দেওয়া হচ্ছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ট্রাফিক তাজুল ইসলাম জানান, ডাক্তার দেখাতে হবে, টাকা জমা দিতে হবে, বাজার করতে হবে- এমন অজুহাত দেখিয়ে মানুষ বাইরে আসছে। বারবার বলার পরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, সরকার বলে দিয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু যারা বাইরে আসছে তারা নানান অসিলা দেখাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। আমরাও সবাইকে সচেতন হতে বলেছি।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর