নলছিটিতে হত্যাচেষ্টা মামলার এক নম্বর আসামি সাইদুল ইসলাম মন্টুকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। কিন্তু তিনি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগও দিচ্ছেন। এমনকি নলছিটির মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শকের সঙ্গে ফটোসেশন পর্যন্ত করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম মন্টুর বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা (নম্বর ১১, তারিখ ২৬ জুন, ২০২১) থাকলেও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশের তালিকায় পলাতক হলেও তিনি সরব উপজেলাজুড়ে। আবার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও রয়েছে তার একাধিক ছবি। সর্বশেষ ২৭ জুলাই বেলা ১১টার দিকে মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহর সঙ্গে ফটোসেশন করেন। ছবিটি ফেসবুকে আসার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মো. মন্টু ও ১৫-১৬ জন লোক ২২ জুন বিকালে নির্বাচনসংক্রান্ত বিরোধের জেরে উপজেলার ঝাহাতলা বাজারের ব্যবসায়ী জলিল সিকদার ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালান। একপর্যায়ে তারা জলিল সিকদারের ভাই নাসির সিকদার ও মেয়ে মুক্তা আক্তারের মাথায় দা দিয়ে বেশ কবার কোপান। এতে ওই দুজন গুরুতর জখম হন। জলিল সিকদারের দোকান ভাঙচুর ও লুট হয়। এ ঘটনায় জলিল সিকদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম মামলা করেছেন।

মাকসুদা বেগম অভিযোগ করেন, আসামিরা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে তার স্বামী জলিল সিকদার ২৯ জুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মামলার প্রধান আসামির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা ফটোসেশন করায় তিনি ভীত, শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ জানান, মন্টু যে মামলার আসামি তা তার জানা ছিল না।ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রশান্ত কুমার দে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।