শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

টাকা আত্মসাৎ প্রমাণিত, তবু জোন প্রধান পদে সেই প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ৪৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা আত্মসাতে যোগসাজশ মিলেছে সহকারী প্রকৌশলী জি এফ এম হাসনুল ইসলামের। ২০১২ সালের ৩০ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট বিএমডিএর গোদাগাড়ী জোন-২-এ এ কান্ড ঘটে। ওই সময় জোনপ্রধান ছিলেন হাসনুল ইসলাম। প্রমাণ ঢাকতে বিএমডিএ অফিসে লাগানো হয় আগুন। পরে দফায় দফায় তদন্তে বেরিয়ে আসে এ কান্ডের পেছনে সহকারী কোষাধ্যক্ষ খবিরুদ্দিন ও সহকারী প্রকৌশলী হাসনুল ইসলামের সম্পৃক্ততা। এ ঘটনায় খবিরুদ্দিন সাময়িক বরখাস্ত হলেও হাসনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিএমডিএ। এখনো তিনি নওগাঁর রানীনগর জোনপ্রধান পদে কর্মরত। হাসনুল ইসলাম গোদাগাড়ী জোন-২-এর প্রধান থাকাকালে ১৬৯টি চেক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৮ টাকা আত্মসাৎ হয়।

এর মধ্যে ভ্যাটের চেক টেম্পারিং করা হয়েছে ১২৬টি। এতে আত্মসাৎ করা হয়েছে ৩০ লাখ ২ হাজার ৫৮৩ টাকা। এ ছাড়া অপারেটরের ২৭টি চেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৫, কৃষকের নষ্ট কার্ডের ১৩টি চেকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৮০ এবং বকেয়া বেতনের ৩টি চেক টেম্পারিং করে আত্মসাৎ করা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।

আরও আত্মসাৎ হয়েছে ভ্যাট ও আয়করের অর্থ, খাবার পানির আদায় করা বিল, প্রাপ্তি হিসাব অর্থ, মানি রসিদের মাধ্যমে আদায়, জরিমানাসহ অন্যান্য খাতের মোট ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৯ টাকা। মজুরি খাতে দুজন দক্ষ শ্রমিকের ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে ৫২ হাজার ৬০ টাকা লোপাট হয়েছে।

ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রথমে বিএমডিএ দুই দফা তদন্ত করে। পরে অধিকতর তদন্ত করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। তদন্তে উঠে এসেছে সহকারী কোষাধ্যক্ষ খবিরুদ্দিনের সঙ্গে যোগসাজশে এসব ঘটিয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী হাসনুল ইসলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে কমিটিগুলো।

সহকারী প্রকৌশলী হাসানুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হলে তিনি জবাব দিয়েছেন। এর আগেও একাধিকবার তিনি তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছেন। কোনো কমিটি তার অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পায়নি বলেও দাবি তার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর