বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে অব্যয়িত টাকা ফেরত দেয়নি ৬৬৪ স্কুল-কলেজ

অধিদফতরের নির্দেশনা উপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা উপেক্ষা করেছেন স্কুল-কলেজের প্রধানরা। অধিদফতরের নির্দেশনা ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে নেওয়া অব্যয়িত টাকা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু রাজশাহীর একটি মাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়নি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, ‘রাজশাহীতে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৬৬৫টি স্কুল-কলেজ আছে। এর মধ্যে ৫৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৩০টি কলেজ। শুধু নগরীর মধ্যে আছে ৯৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অধিদফতরের চিঠি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অব্যয়িত টাকা ফেরত দেয়নি। তিনি আরও জানান, এক মাস আগে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। লকডাউন শেষে ওইসব ব্যর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা অধিদফতরে পাঠানো হবে।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (ঢাকা) কার্যালয় থেকে নির্দেশনা আসে, শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন খাতে আদায় করা টাকা ব্যয় করা না হলে তা আবার শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে হবে।

 কিন্তু অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় ছাড়া রাজশাহীর আর কোনো স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।

অধিদফতরের ওই নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৩৩০ টাকা ফেরত দিয়েছে নগরীর অগ্রণী স্কুল ও কলেজ। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি (২০২১) ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা শিক্ষার্থীদের ছাড় দিয়েছে। নগর ও জেলার আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরত বা টিউশন ফির সঙ্গে অব্যয়িত টাকা সমন্বয় করেছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।

অগ্রণী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা আমরা মেনে চলি। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় আছি। অধিদফতরের চিঠির আলোকে অব্যয়িত টাকা ফেরত দিয়েছি।’

অন্যদিকে, চলতি বছরের ৩০ জুন শিক্ষার্থীদের থেকে ১৫ মাসের ৩ হাজার টাকা বেতন চেয়ে নোটিস দিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই বেতন দেবে। তবে অভিযোগ আছে শুধু বরেন্দ্র নয়, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের এইভাবে একসঙ্গে টাকা নিচ্ছে।

বরেন্দ্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিতাই লাল বাছাড় বলেন, ‘আমরা একাদশের কোনো শিক্ষার্থীর থেকে বেতন নেইনি। এখন নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো শিক্ষার্থীর বেতন দিতে সমস্যা হলে তার বিষয়টি দেখা হবে।’

রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, ‘বিষয়টি অমানবিক। এই সময় একসঙ্গে ৩ হাজার টাকা দেওয়া অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব নয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর