বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন

চাঁদপুরের কচুয়ার ১ নম্বর সাচার ইউনিয়নের বজরী খলা গ্রামের খাস জমিতে প্রথম পর্যায়ে গৃহহীন-ভূমিহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। এমন দুর্গম এলাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীনরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। তারা বলছেন- পেলাম  প্রধানমন্ত্রীর ঘর, এখন স্বপ্ন দেখছি খেয়ে পরে বেঁচে থাকার। বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে গতানুগতিক যে চিত্রটি দেখেছি, বজরী খলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে তার একটু ভিন্নতা দেখতে পেয়েছি। প্রতিটি ঘরে তাদের ছোট্ট পরিবার, জীবনের সঞ্চিত সম্বলটুকু ঘরে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখে পরম আনন্দে বসবাস করছে। কারও ঘরে ঘুণে ধরা কাঠের চেয়ার, প্লাস্টিকের ফাটা চেয়ার, কাঠের চৌকিতে হোগলা বিছানো, রান্নাঘরে কাঠের জরাজীর্ণ মিটসেফ সত্যিই তাক লাগানোর মতো। একটি ঘরে নবদম্পতির নবাগত সন্তানটিকে হোগলার বিছানায় শুয়ে পরমানন্দে স্তন্যপান করাচ্ছে। সুমি বাবুর্চি উপস্থিত অতিথিদের চা আপ্যায়নে রং চা সবার মাঝে পরিবেশন করে আলোচনায় উঠে আসে। এই তো হচ্ছে বাস্তব চিত্র, যাদেরকে প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন তারাই পেল আশ্রয়। ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে’ ঘরের নিপুণ এই কারিগরদের বাছাইয়ের কাজটিও কচুয়ার ইউএনও দীপায়ন দাস শুভ করেছেন। আগামী দিনে আশ্রয়ণের এই কারিগররা প্রকল্পটিতে প্রধানমন্ত্রীর আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করবেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, উপকারভোগীদের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদফতরের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পোলট্রি, মৎস্য ও কৃষি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান আর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা হবে। বিধবা সুমী বেগম বলেন, মানুষের বাসায় রান্নার কাজ করে, বাবাহারা ছেলে ও বৃদ্ধা মাকে নিয়েই আমার সংসার। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছি। বিয়ের অল্প সময়ে স্বামীকে হারিয়ে আমি দিশাহারা, বাকরুদ্ধ ছিলাম। কাজের শেষে মাথা গোঁজার ঠাঁইতো হয়েছে। নিশ্চিন্তে এখন নিজের ঘরে ঘুমাতে পারব। ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আল্লাহ উনার দীর্ঘায়ু দান করুন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর