বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দুই ভাগ্নে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু ও ফখরুল ইসলাম রাহাতকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ‘কেচ্ছা’ রাসেল নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী। কেচ্ছা রাসেলের প্রকৃত নাম শহীদ উল্লাহ; তিনি কাদের মির্জার অনুসারী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার একটি কক্ষ থেকে ৪৮ মিনিট ধরে প্রচারিত ফেসবুক লাইভে এসে মঞ্জু-রাহাতকে হত্যার হুমকি দেন। কাদের মির্জা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। কেচ্ছা রাসেল গত মে মাসে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়াতে অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া ও গুলি করছেন এমন একটি ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু অস্ত্রধারী কেচ্ছা রাসেল ও তার সঙ্গী পিচ্ছি মাসুদকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করেনি।
মঞ্জু ও রাহাত ছোটমামা মির্জার কর্মপন্থার বিরোধী। তাই, কেচ্ছা রাসেল এই দুজনকে ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে বলেন, আমি বলতে চাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আমেরিকাতে। তিনি কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নন। মেয়রের কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভাতে অবস্থান করতেছে। আজকে যারা আবার ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করতেছে, তার খেসারত কত ভয়ানক হবে ওরা সেটা কল্পনাও করতে পারবে না। মঞ্জু, তোকে যে কোনো মুহূর্তে বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসব, ওপেন ডিক্লেয়ার দিলাম। তুই এর জন্য প্রস্তুত থাক। কয়টারে গুলি করবি, তোর কাছে কত অস্ত্র আছে দেখা যাবে। বাংলার মানুষ দেখতে চায় তুই কত মানুষ হত্যা করতে পারোস। ছাত্রলীগ নেতা রাহীম, শাকিল ও যুবলীগ নেতা রাজীবকে আজরাইল মাফ করলেও আমরা মাফ করব না।
কেচ্ছা রাসেল বলেন, রাহাত-মঞ্জুর মাকে বলতে চাই আপনার ছেলেদের সাবধান করুন। আপনাদের ছেলে কোম্পানীগঞ্জকে কী পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে কল্পনাও করতে পারবেন না। রাহাত-মঞ্জু, তোরা রাজনৈতিক মামলা ২০-৩০টা দিয়ে আমাদের ক্রসফায়ার দিবি। ক্রসফায়ার আমি সকাল বিকাল নাস্তা করি।