শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠনসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিকালে দলের আয়োজনে শিক্ষাবিষয়ক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই করোনার সময়ে এই যে ক্ষতিটা হয়েছে তা মারাত্মকভাবে শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ আমাদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য শিক্ষাবিদ, অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটা জাতীয় কমিশন গঠন করে অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিকল্পনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া প্রয়োজন। শিফট করে, নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে।

বিএনপির উদ্যোগে ‘কভিড-১৯ বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা-সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় মহাসংকটে জাতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। মূল              প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ, অধ্যাপক কামরুল হাসান, এএনএম মাহিদ উদ্দিন ভুঁইয়া, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া বক্তব্য দেন। ফখরুল বলেন, এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয় বলেই আজকে জনগণের প্রতি এত অনীহা। এই সরকার একটা ফ্রড। জনগণকে প্রতারণা করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা প্রতারণা করছে।

করোনার শুরু থেকেই তারা জনগণকে মিথ্যা বলছে, প্রতারিত করছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। এটা শিক্ষার চরম ক্ষতি। আগামী ২০ বছর এই ক্ষতি নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। শ্রেণির শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। অনলাইনের মাধ্যমে যে শিক্ষার পাঠদান করার চেষ্টা করা হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, এটাতে ফলাফল ভালো নয়। অতিদ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত। যেখানে সব কিছু খোলা, কলকারখানা খোলা, দোকান-পাট খোলা- সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো যুক্তি নেই।

অধ্যাপক কামরুল হাসান এবং এ এন এম মাহিদ উদ্দিন ভুঁইয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো তুলে ধরে বলেন, এভাবে যদি শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয় তাহলে ভবিষ্যতে আমরা যাদের পাব তারা কীভাবে দেশ পরিচালনা করবেন সেটা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। ঘরবন্দী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে, মোবাইল, ট্যাব, ভিডিও গেমসে আসক্ত হচ্ছে, শিশু শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি অমনোযোগী ও তাদের পড়াশোনার প্রতি অনীহা চলে এসেছে, বাচ্চারা স্কুলের পরিবেশটা খুব মিস করে। এতে তারা দিনকে দিন আপসেট হয়ে যাচ্ছে। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে ছোট্ট বাচ্চারা সম্পূর্ণ এবং সঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর