মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী

শনাক্ত লাখ ছাড়িয়েছে, সীমান্তবর্তী পাঁচ জেলার সংক্রমণ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী

লকডাউনে বিধিনিষেধ ও টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হলেও খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনার সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। গতকাল বিভাগে ৪ হাজার ৪৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৯১১ জন। শনাক্তে হার ২০.৩৯ শতাংশ। এদিকে এ নিয়ে বিভাগে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪০৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৯ হাজার ৯৫২ জন, মারা গেছেন ২৬৮১ জন। গতকাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, বিভাগের মধ্যে সীমান্তবর্তী পাঁচ জেলা খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ মাগুরায় এখনো সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের বেশি। গতকাল খুলনা জেলায় আরটিপিসিআর, র‌্যাপিড ও জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৫৫ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৬ জন। সংক্রমণের হার ২২.৯২। এ ছাড়া বিভাগে ঝিনাইদহ সর্বোচ্চ ২৯.৩৩, কুষ্টিয়া ২৭.৫৯, যশোর ২৩.৯১ ও মাগুরায় ২১.১৬ শতাংশ সংক্রমণ ধরা পড়ে। নড়াইলে ২১.৮৭ শতাংশ সংক্রমণ হলেও নমুনা পরীক্ষা হয়েছে কম। এখানে ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। বিভাগে সংক্রমণের তালিকায় নিচের সারিতে রয়েছে বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা জেলা। এর মধ্যে বাগেরহাটে গতকাল সর্বোচ্চ ১১৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫৩ জন শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১২.৮৩ শতাংশ।  এদিকে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও মৃত্যু সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ২৪ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয় কুষ্টিয়ায়। বাকিদের মধ্যে যশোরে ৫ জন, খুলনায় ৩ জন, বাগেরহাট ও ঝিনাইদহে ২ জন করে, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মারা গেছেন। এর আগে গত ৮ আগস্ট বিভাগে ৩৯ জনের মৃত্যু এবং ৪২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। একই সঙ্গে খুলনা নগরীর পাঁচটি করোনা হাসপাতালেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে পাঁচটি হাসপাতালে ৫৬৫টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৯৫ জন। ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, বর্তমানে রোগীর ভর্তির চাপ কমেছে। ২০০ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে (করোনা) ৫৯ জন, ইয়েলো জোনে (উপসর্গ) ৩৯ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, গত ২২ জুন থেকে খুলনা জেলায় ধারাবাহিক লকডাউন চলছে।

এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় ও সাধারণ মানুষ কিছুটা সচেতন হওয়ায় সংক্রমণ হার কমছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর