মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

নীতিমালা চূড়ান্ত, চালু হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ পদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠন বা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পদক চালু করেছে সরকার। এ পদক দিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যে সাত ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক দেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে- স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনে ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতাবিষয়ক সাহিত্য রচনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, নাটক নির্মাণ, সংস্কৃতিক কর্মকান্ড, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ। এ ছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে এ পদক দেওয়া হবে। প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ পদক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

পদক প্রাপ্তির যোগ্যতা : ব্যক্তিপর্যায়ে এ পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশি নাগরিককেও এ পদক দেওয়া যাবে। পদক প্রদানের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে : বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধপরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে। সরকারি দফতর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয়/বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন দফতর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে। পদক প্রাপ্তির অযোগ্যতা : রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে বা ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত বা দেউলিয়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পদক প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ বছরে একই বিষয়ে পুনরায় পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেওয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তিযুদ্ধ পদক দেওয়ার লক্ষ্যে মনোনয়ন আহ্বান করবে। মনোনয়ন আহ্বান করা হলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জানানো হবে।

সর্বশেষ খবর