মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
একনজরে

বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অজানা তথ্য জানতে পারবে। বঙ্গমাতার জীবন-আদর্শ চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আরও বেশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা। তিনি একই সঙ্গে তাঁর জীবনাদর্শ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনের ওপর গবেষণার প্রস্তাব করেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ উপলক্ষে শহীদ ডা. মিল্টন হলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিটি পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে জাতির পিতার নেপথ্য শক্তি, সাহস ও বিচক্ষণ পরামর্শক ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থেকেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, রাজনীতি সচেতন এক মহীয়সী নারী এবং বঙ্গবন্ধুর বন্ধু, দার্শনিক ও পথ প্রদর্শক’। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের অবিশ্বাস্য সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গমাতার সমর্থন ও নিঃস্বার্থ সহযোগিতা। আলোচনা সভার প্রধান বক্তা ও বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন তার বক্তব্যে বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য ও গৌরবময় কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ সময় বিএসএমএমইউ প্রো-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ছায়েফ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর