বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

যে কারণে শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এক আসামির আপিল শুনানির সময় জানতে পারলেন আসামির বাড়ি নিজের পাশের গ্রামে। এ কারণে মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারক মো. নূরুজ্জামান ননী। পরে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানকে ছাড়াই প্রধান বিচারপতিসহ চার বিচারকের আপিল বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১৭ আগস্ট এ মামলার রায়ের জন্য দিন রাখে আপিল বিভাগ। এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হলে আসামি মকবুলের গ্রামের নাম শুনে বিচারক নূরুজ্জামান বলেন, ‘তার বাড়ি যেহেতু আমার পাশের গ্রামে। এ মামলার শুনানিতে আমি থাকতে চাই না।’ পরে প্রধান বিচারপতির অনুমতিক্রমে বিচারপতি নূরুজ্জামান মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।

মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও উম্মে কুলসুম বেগম রেখা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

আইনজীবী ফজলুর রহমান বলেন, মামলাটি আজ (মঙ্গলবার) আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ছিল। সকালে শুনানি শুরু হলে মামলায় আসামির ঠিকানা দেখে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান নিজেকে শুনানি থেকে প্রত্যাহার করে নেন। মামলার রায়ের ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে কিংবা নিজের অজান্তে কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) চলে না আসে এজন্য তিনি মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আইনের কথা হচ্ছে শুধু ন্যায়বিচার করলেই হবে না, ন্যায়বিচারকে দৃশ্যমান করতে হবে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক। তিনি সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি। আর মামলাটি এখানে বিচারাধীন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, আসামির নাম মকবুল হোসেন ওরফে মকবুল হাসান। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ছিলনী গ্রামে। কাজের জন্য তিনি ঢাকার সবুজবাগ থানার উত্তর মুগদাপাড়ায় থাকতেন। ২০০৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ওলিউল্লাহ নামে একজন খুন হন। সে মামলায় আসামি করা হয় মকবুল হোসেনকে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৬ সালে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। এরপর ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাই কোর্টে আসে। আসামি আপিল করেন। হাই কোর্ট শুনানি নিয়ে ২০১২ সালে তার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেন মকবুল হোসেন। ওই আপিলটি শুনানির জন্য গতকাল আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১ নম্বরে ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর