বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, করোনায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে সরকার ‘ভেন্টিলেশনে’ রয়েছে। খুলে দিলেই সব শেষ হয়ে যাবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে কী আন্দোলন করবেন? এই সরকারকে কী-ই-বা ধমক দেবেন? গতকাল দুপুরে দক্ষিণ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে করোনা হেল্প সেন্টার উদ্বোধন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লকডাউনের পর উপজেলা পর্যায়ে এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সরাসরি যোগ দিলেন।
উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দীন মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি আগেই বলছি, এই সরকার ভেনটিলেশনে আছে। এই ভেনটিলেশনটা খুলে গেলে সরকার নাই হয়ে যাবে। ফলে তারা আতঙ্কে আছে। ওদের হারানোর যন্ত্রণা এখন সারাক্ষণ। ওদের প্রাপ্তির কোনো বিষয় নেই। আর আমাদের নেতা-কর্মীদের হারানোর কিছু নেই।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিন টেলিভিশনের ছোট বাক্সের মধ্যে নানা কথা বলেন। এসব কথা বলে তারা খুব একটা আত্মতৃপ্তি পান। বিশেষ করে তথ্যমন্ত্রী তো তথ্যের ভান্ডার! ভবিষ্যতে তাকে যদি পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সরকারের ষড়যন্ত্রের দুর্নীতির অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। দোয়া করি, তিনি বেঁচে থাকুন। বাংলাদেশের জন্য তার প্রয়োজন হবে। আর ওবায়দুল কাদের সাহেব যা বলেন, সেটা পুঁথি পাঠের মতো। আমরা জানি ছোটবেলার কবিতা- সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। আর তিনি পুঁথি পাঠ করেন- সকালে উঠিয়া আমি প্রকাশ্যে বলি, মিথ্যা কথা ছাড়া যেন সত্য নাহি বলি।’
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘জনগণের পাশে থাকতে বিএনপির নেওয়া কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। আমাদের এই কর্মসূচি আজ থেকে শুরু। আমরা সব সময় জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকব।’