শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বেসরকারি খাতে টিকার অনুমতি না দেওয়ার সুপারিশ

সংসদীয় কমিটির বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি খাতে টিকার অনুমতি না দেওয়ার সুপারিশ

করোনাভাইরাসের টিকা কোনোভাবেই বেসরকারি খাতে না দেওয়ার সুপারিশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২২তম বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মুহাম্মদ ফারুক খান আরও বলেন, ‘বেসরকারিভাবে টিকা দেওয়ার জন্য মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেই এ ধরনের একটি এসএমএস পেয়েছি। কোন কোন ধরনের টিকা পাওয়া যায় তা-ও জানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। বলেছি আমরা যেন কোনোভাবেই বেসরকারিভাবে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিই।’

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. আবদুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত অংশগ্রহণ করেন।

বেসরকারি খাতে টিকা আনা হলে এ ক্ষেত্রে সরকারের বদনাম ও অরাজকতার আশঙ্কা করে কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখা যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা নিয়ে আসবে। পানি ভরে টিকা দেওয়া হবে। আর সব দোষ পড়বে সরকারের ওপর। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যন্ত টিকা বিক্রিতে নেমে পড়বেন। এ ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ টিকা কমিটির সদস্য। আমরা তাকে বলেছি ওই কমিটিতে যেন আমাদের এ পর্যবেক্ষণ জানানো হয়।’ বৈঠক থেকে ভ্যাকসিন আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের মেয়াদ যাতে ছয় মাস থাকে তা নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সংসদীয় কমিটি।

এ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা দেশে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিশ্বব্যাংকের একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করেছে সংসদীয় কমিটি। এ প্রস্তাবকে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার ‘অভিপ্রায়’ উল্লেখ করে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কমিটি বলেছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী। তাই আলোচনার প্রথম এজেন্ডা হবে কীভাবে তাদের ফেরত পাঠানো যাবে তা।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বব্যাংককে বলেছে তারা আমাদের এসব টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে কেন? এখানে তাদের জমি কেনার কথা বলা হচ্ছে কেন? এ প্রস্তাবগুলো আপনারা মিয়ানমারকে দিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে ৯-১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০০ জনেরও কম আছেন যারা গ্র্যাজুয়েট। তাদের তো সে দেশেই পড়াশোনা করার অধিকার নেই। বিশ্বব্যাংক চাইলে মিয়ানমারকে টাকা দিক সে দেশে রোহিঙ্গাদের পড়াতে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর