সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনার বটিয়াঘাটায় অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগ্রহ বেজার

উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরি হলে পাল্টাবে দৃশ্যপট

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৫ সালে খুলনার বটিয়াঘাটা ও তেরখাদায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বেজা)। ওই বছরের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এতে সম্মতি দেয়। এরপর ২০১৭ সালে খুলনা জেলা প্রশাসন বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা মৌজায় ৫৯৪ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেয়নি মন্ত্রণালয়।

এদিকে সম্প্রতি যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কথা উল্লেখ করে রূপসার জাবুসা মৌজায় ৬৩৯ একরের আরেকটি জমিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও জমি অধিগ্রহণে প্রয়োজনীয় বিশাল অর্থ ব্যয় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। তবে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা এলাকা ঘিরে। জলমা ইউনিয়নে এই অংশে সরকারি খাস জমির পরিমাণ বেশি থাকায় অধিগ্রহণ ব্যয় অনেক কমবে। জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সরেজমিন বটিয়াঘাটার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের খাস জমি অধিগ্রহণ করে এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের সম্ভাব্যতার কথা জানান। জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার তথ্য অনুযায়ী, বটিয়াঘাটার ৫৯৪ একর জমির মধ্যে প্রায় ২১২ একর খাস জমি। বাকি ৩৮২ একর জমির মধ্যে কিছু অংশ বন্দোবস্ত ও কিছু জমিতে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে না। তবে এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে নৌ ও সড়কপথে সংযোগ তৈরিতে আরও কিছু জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। এরই মধ্যে বটিয়াঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য চিহ্নিত করা জমির একটি ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বটিয়াঘাটা ও রূপসার দুটি প্রস্তাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রূপসায় অবস্থানগত সুবিধা বেশি। আর বটিয়াঘাটায় নদীর পাড়ে অনেক খাস জমি আছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য দুটি জায়গাই বিবেচনায় রয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বটিয়াঘাটায় অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর