বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া স্বামীসহ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তারা। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়। ই-অরেঞ্জের গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। আসামিরা হলেন-সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান, আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, কাওসার এবং ই-অরেঞ্জের সব মালিক। এর আগে সোমবার রাতে ই-অরেঞ্জের সাবেক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা ভুক্তভোগীদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মামলা করার কথা বলেছিলেন। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন (মামলা নম্বর-১৪)। মামলায় তিনি ই-অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় নানা পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা বারবার নোটিসের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছেন।

সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে ই-অরেঞ্জকে : ভোক্তাদের কাছ থেকে অগ্রিম ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা নিয়ে পণ্য না দেওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই নোটিসে সাত দিন সময় দিয়ে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে ই-অরেঞ্জকে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে এ নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসে ই-অরেঞ্জের স্বত্বাধিকারী হিসেবে সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আকতারকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ, দায় ও চলতি মূলধনের পরিমাণ কত, তা জানাতে হবে। সরবরাহকারীদের কাছে বকেয়া থাকলে তার পরিমাণ কত, তাও জানাতে হবে। একই সময় পর্যন্ত টাকা নিয়েও পণ্য দেওয়া হয়নি, এমন গ্রাহক কত এবং গ্রাহকের কাছ থেকে কী পরিমাণ অর্থ নেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ জানাতে হবে।

সর্বশেষ খবর