বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সোনালি আঁশে কৃষকের হাসি

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

সোনালি আঁশে কৃষকের হাসি

সোনালি আঁশের বাম্পার ফলন ও বাজারমূল্যে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। দিনাজপুরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাট চাষও বেশি হয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে অসুবিধায় পড়েন চাষিরা। তবে এ অবস্থা কেটে গেছে। খেতের উৎপাদিত পাট কেটে জাগ দেওয়া, আঁশ ছড়ানোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। বাজারমূল্য বেশি এবং উৎপাদন ভালো হওয়ায় আগামীতে এ অঞ্চলে পাট চাষ আরও বাড়বে বলে চাষিরা বলছেন। দিনাজপুর জেলা সম্প্রসারণ কৃষি অধিদফতর জানায়, চলতি বছর জেলায় ৪ হাজার ১৩৬ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। চাষও হয়েছে ৪ হাজার ১৩৬ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে চাষিকে বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়। কয়েকজন পাটচাষি বললেন, ‘এ বছর আমরা পাটের খুব ভালো ফলন পেয়েছি। পাটের বাজারমূল্যও পাচ্ছি কল্পনাতীত। পাট যে সোনালি আঁশ বাজারমূল্যেই এর প্রমাণ।’ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা  আনন্দের সঙ্গে খেতের উৎপাদিত পাট কেটে জাগ দেওয়া, আঁশ ছড়ানো, পাট ও পাটকাঠি শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খানসামার আইয়ুব আলী বলেন, ‘জীবদ্দশায় আমি পাটের ফলন আর এমন বাজারদর দেখিনি। পাটের এ বাজার থাকলে আগামী বছর চাষিরা আগ্রহের সঙ্গে অধিক হারে পাট চাষ করবেন।’ অপর পাটচাষি আবদুস সালাম বলেন, প্রতি বিঘা (৫০ শতক) জমিতে হালচাষ, বীজ, নিরানি, সার, বিষ প্রয়োগ, পাট কাটা ও ধোয়া-শুকানোসহ খরচ হচ্ছে ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে পাট হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ মণ। প্রতি মণ ভালো পাটের বর্তমান বাজারমূল্য ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর