শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক

বিশেষ প্রতিনিধি

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির মাধ্যমে আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপরাধ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদকের জনসংযোগ শাখা থেকে এই তথ্য জানানো হয়। গতকাল সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় কমিশন। দুদক সূত্র জানায়, এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে দেশে বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে এসবিএসি ব্যাংকের খুলনা শাখা ও কাটাখালী শাখা ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি ও ঋণের আড়ালে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির মাধ্যমে আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। দুদকে আসা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে টাকা তোলার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন, ভাই-ভাতিজি ও নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নামে তিনি ঋণ নিয়েছেন। আবার  করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকেও শ্রমিকদের বেতনের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বেশি টাকা তুলেছেন। আমজাদ হোসেন রাজধানীর কোনো শাখায় এসব অনিয়ম না করে বেছে নিয়েছেন এসবিএসি ব্যাংকের খুলনা ও কাটাখালী শাখাকে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলনা ও কাটাখালীকেন্দ্রিক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক জানতে পেরেছে পাচারের টাকা দিয়ে তিনি দেশের বাইরে ভারত, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়ায় প্রচুর সম্পদ গড়েছেন। এর আগে এসএম আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রী (একই ব্যাংকের পরিচালক) বেগম সুফিয়া আমজাদ এবং কন্যা তাজরির বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক। গত ৯ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান গুলশান আনোয়ার প্রধান এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপার (এসপি) ইমিগ্রেশনের কাছে চিঠি দেন। দুদকের ওই চিঠিতে বলা হয়, সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার, ঋণ জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে এসএম আমজাদ হোসেন, তার স্ত্রী ও তাদের কন্যাকে দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। অভিযুক্তরা যাতে স্থল ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলেও দুদকের কাছে তথ্য থাকায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইমিগ্রেশন পুলিশকে অনুরোধ জানায় দুদক।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর