রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সাইবার বুলিংয়ের শিকার ৭৩ ইবি ছাত্রী, পেছনে ছাত্রলীগ নেতা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একটি ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আপত্তিকর ক্যাপশন জুড়ে ইবির ৭৩ ছাত্রীর ছবি প্রকাশ করে পেজটি। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন পেজ কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, Crush & Confession, Islamic University, Bangladesh  নামে একটি ফেসবুক পেজে আপত্তিকর ক্যাপশন জুড়ে ৭৩ ছাত্রীর ছবি প্রকাশ করা হয়। এতে ক্যাপশনে লেখা ছিল- ‘ইবি কাঁপানো সকল সুন্দরী একসাথে, ইমো নাম্বার পেতে লাভ রিয়েক্ট দিয়ে সঙ্গেই থাকুন।’ এরপর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আনুমানিক ১২টার দিকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। একই সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে পুনরায় পোস্ট করা হয়। এ ছাড়া পেজটিতে এর আগেও অসংখ্যবার বিভিন্ন মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পেজের ক্রিয়েটর ও একমাত্র অ্যাডমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজান বিশ্বাস। তিনি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ছাড়া স্থানীয় খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।

 অভিযুক্ত মিজান বিশ্বাস বলেন, ‘এটা ডাবল মিনিংয়ের পোস্ট। ফান করে দিয়েছি। ইমো নম্বর দেওয়া তো ভাইরাল ডায়ালগ। তবু আমার ভুল হয়েছে; আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। বিভিন্ন গ্রুপ এবং ব্যক্তিগত আইডি থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠেই আমার ছবিসহ ৭০-৮০ জন মেয়ের ছবি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পেজে অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেখে হতবাক হয়ে গেছি। ইবির নামে খোলা ফান পেজে কীভাবে এতগুলো মেয়ের ছবি ব্যবহার করে তাদের ইমো নম্বর দিতে চেয়ে পোস্ট করতে পারে অ্যাডমিনরা? প্রশাসন আগেকার হয়রানির ঘটনার বিচার করেননি জন্য এর পুনরাবৃত্তি ঘটছে, আরও ঘটবে।’

বাংলা বিভাগের এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একের পর এক ঘটনা ঘটছে কিন্তু প্রশাসন নীরব! ক্যাম্পাসেরই একটা পেজ থেকে ৭০+ মেয়ের ছবি দিয়ে বাজে ক্যাপশনে পোস্ট করা হলো। এটা রীতিমতো হয়রানি। এসব আর কত চলবে? মেয়েরা কোথায় নিরাপদ?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। তিনি আইটি সেলে একটি নোট পাঠাতে বলেছেন, আমরা অলরেডি পাঠিয়েছি। আইডিগুলো শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর