সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজধানীতে ডেঙ্গু ঝুঁকি বেশি বাসাবো-গোড়ানে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রাজধানীতে জরিপ চালিয়ে এডিস মশার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে গোড়ান ও বাসাবো এলাকায়। আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে যাত্রাবাড়ীতে। গতকাল দুপুরে এক জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ‘মনসুন এডিস সার্ভে ২০২১ অ্যান্ড কারেন্ট সিচুয়েশন অব ডেঙ্গু’ শীর্ষক জরিপের তথ্য তুলে ধরেন ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নির্মূল কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, উত্তরার পর ধারাবাহিকভাবে বাসাবো, রামপুরা, খিলগাঁও, মুগদা, ওয়ারী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মগবাজার ও পল্টনে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ৮ দশমিক ২০ শতাংশই যাত্রাবাড়ীর। তারপর মিরপুর ও উত্তরায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি। জরিপে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬টি সাইটে এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০টি সাইটে এডিসের লার্ভার বেশি উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

জরিপকালে ৩ হাজার ৪১২টি গৃহস্থালিতে এডিসের লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি এবং ৫৮৮টি গৃহস্থালিতে লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

কোনো এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব পরিমাপের একক ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি হলেই তাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো ও গোড়ান এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৭৩ দশমিক ৩। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ৫৬ দশমিক ৭ পাওয়া গেছে। এই ওয়ার্ডে রয়েছে মগবাজার, নিউ ইস্কাটন এলাকা। গত ২৯ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিন ধরে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে।

এডিসের লার্ভার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বহুতল ভবনে। নির্মাণাধীন ভবনেও উল্লেখযোগ্যভাবে লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডে ১০ দিন জরিপ চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

নগরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেও এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালে গ্রামাঞ্চলে বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি। এখন দেখা যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলেও অনেক ডেঙ্গু রোগী। এর কারণ হলো নগরায়ণ এখন গ্রাম পর্যন্ত চলে গেছে। এসব জায়গার বাসাবাড়িতে এসি, ফ্রিজ আছে। নগরায়ণের জন্য এডিস মশার বংশ বেড়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর