শিরোনাম
বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য পেল ৩ হাজার পরিবার

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য পেল ৩ হাজার পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দুর্গারামপুর গ্রামে গতকাল ৩ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে বসুন্ধরা গ্রুপ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দুর্গারামপুর গ্রামে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলো ৩ হাজার পরিবারের মধ্যে। গতকাল এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল ও ৩ কেজি আটা।  কালের কণ্ঠের শুভসংঘের মাধ্যমে এ খাদ্য সহায়তার আয়োজন করা হয়। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি বাবু তপন চন্দ্র সূত্রধর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সুলতানা মরিয়ম। বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন আবদুল্লাহ, বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী, বসুন্ধরা গ্রুপের ডিজিএম মাইমুন কবির, বসুন্ধরা গ্রুপের উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার মো. জামাল উদ্দীন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শাহজাহান প্রমুখ। প্রধান অতিথি সৈয়দা শমসাদ বেগম তার বক্তব্যে বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ মানবসেবায় অনেক এগিয়ে, যার বাস্তব চিত্র আমি আমার সামনে দেখছি। এই মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হতদরিদ্র লোকদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা সবচেয়ে বড় মানবিক গুণ। পত্রপত্রিকা পড়ে দেখতে পাই বাঞ্ছারামপুরের মতো সারা বাংলাদেশে বসুন্ধরা এই খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের কল্যাণ কামনা করছি। পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ এই সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা করছি।’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার।

সুবিধাভোগী রহিছা বেগম (৬৫) খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পেয়ে আনন্দে বলেন, ‘এত বড় খাবারের বস্তা আমারে আর কেউ দেয় না। আমি হগলের লাগি দোয়া করি।’

খাদ্য সহায়তা পেয়ে হাতভাঙা দিলবরের নেছা (৫০) বলেন, ‘হাত ভাইঙা না খাইয়া চলতাছি। বসুন্ধরা অনেকটি খাবার দিছে। আল্লাহ যেন সবাইরে ভালা রাখে।’

দিনমজুর রব্বান মিয়া (৭০) বলেন, ‘করোনার সময় কেউর কাছে টেহা হাওলাত চাইলেও দেয় না। খায়া না খায়া আছি। কেহ দেহেও না। বসুন্ধরা আমরারে খাবার দিছে। বসুন্ধরার হগলের লাগি ২ হাত তুইল্লা আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।’

আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি সৈয়দা শমসাদ বেগম উপস্থিত কর্মহীন ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এই কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালের কণ্ঠের শুভসংঘ এবং বাঞ্ছারামপুরের বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর