বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

অপেক্ষায় ১১ লাখ মানুষ টিকার সংকট রংপুরে

করোনা মোকাবিলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

অপেক্ষায় ১১ লাখ মানুষ টিকার সংকট রংপুরে

রংপুর বিভাগে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকার মজুদ তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে দ্বিতীয় ডোজের টিকা সংকটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভাগে এখনো প্রায় ১১ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা পায়নি। ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় টিকার মজুদ প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। অন্যান্য জেলায় যে মজুদ রয়েছে তাও খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। দ্রুত টিকা না এলে দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম ব্যাহত হবে এমনটাই শঙ্কা করা হচ্ছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের আট জেলায় সোমবার পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৮ জন। এর মধ্যে কভিশিল্ডের টিকা গ্রহণ করেছেন ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৫ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৬২৯ জন। এখনো দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে বাকি রয়েছেন ৯৬ হাজার ৩১৭ জন। সিনেফার্মার টিকা এ পর্যন্ত গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৪ জন। এর মধ্যে প্রধম ডোজ নিয়েছেন ১০ লাখ ২৫ হাজার ৮৯৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন মাত্র ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৫৮ জন। সিনেফার্মার দ্বিতীয় ডোজের জন্য এখনো অপেক্ষায় রয়েছেন ৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৪০ জন। রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় এ পর্যন্ত মডার্নার টিকা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৫২ জন। মডার্নার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া এক সপ্তাহের বেশি আগে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন মাত্র ১২ হাজার ৯৪২ জন। মডার্নার দ্বিতীয় ডোজের জন্য এখনো অপেক্ষায় রয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৮ জন। সিনেফার্মা, কভিশিল্ড ও মডার্না এই ৩ ধরনে টিকা নিতে এখনো ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৫ জন অপেক্ষা করছেন। এসব মানুষ প্রতিদিনই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে অধির আগ্রহে চোখ রাখছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে টিকাগ্রহণে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ছে। ফলে টিকার মজুদ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকের প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের অনেকেই এখনো দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি।

স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে বিভাগের প্রতিটি জেলাতেই টিকা প্রায় শেষের পথে। যে মজুদ রয়েছে তা দিয়ে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ চলতে পারে। এর মধ্যে না এলে টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কুড়িগ্রাম জেলায় যে টিকা রয়েছে তা মঙ্গলবার পর্যন্ত চলার কথা। রংপুর-দিনাজপুর বাদে অন্যান্য জেলাগুলোতে টিকার মজুদ অস্বাভাবিক কমে গেছে। দ্রুত টিকা না এলে এর কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম জানান, টিকার চাহিদা ঢাকায় জানানো হয়েছে। আশা করি মজুদ শেষ হওয়ার আগে টিকা এসে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর