বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
চূড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নেবে বাদী

হাই কোর্টের রুলের পরও বন্ধ হয়নি ডাকাতিয়া নদীর দখল-দূষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাই কোর্ট থেকে রুল জারির পরও বন্ধ হয়নি চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর দখল দূষণ। অবৈধ ভরাট ও দখল, স্যুয়ারেজে ময়লাসহ নানা বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলা রোধে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে গত জুন মাসে হাই কোর্টে রিট করেন নদীর তীরের এক বাসিন্দা। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ জুন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে।

গতকাল রিটকারী আবু তাহের বলেন, ভেবেছিলাম রিট করার পর হয়তো প্রশাসন নদীটির দখল দূষণ বন্ধের উদ্যোগ নেবে। কিন্তু তা নেয়নি। বরং দখলদার ও দূষণকারীদের তৎপরতা বেড়েছে।

 তাই শিগগিরই রুলের চূড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নেব। তিনি আরও বলেন, হাই কোর্ট রুল জারি করলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেটিও হয়নি। যার কারণে নদীর মাঝখানেও গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। বিদ্যুতের টাওয়ার বসিয়েছে বেসরকারি কোম্পানি।

হাই কোর্টের জারি করা রুলে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ডাকাতিয়া নদীর অভ্যন্তরে (উৎস হতে বড় স্টেশন পর্যন্ত, বিশেষ করে শাহরাস্তি থেকে বড় স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা) সব রকম দূষণ, দখল ও অবৈধ স্থাপনা বন্ধের জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চায় আদালত। নৌসচিব, পানিসম্পদ সচিব, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ১১ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর