শিরোনাম
শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বিক্রির তথ্য গোপন করেছে ই-অরেঞ্জ

অভিযানে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদ্‌ঘাটন করল ভ্যাট গোয়েন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পণ্য বিক্রির প্রকৃত তথ্য গোপন করে অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ১৩ লাখ ১৬ হাজার ১৫৮ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। রাজধানীর গুলশানে ই-অরেঞ্জ অফিসে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট ফাঁকির এ তথ্য উদ্্ঘাটন করেছে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ভ্যাট ফাঁকির অপরাধে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানের অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদ্্ঘাটন করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দারা। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় আজই (গতকাল) প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা হয়েছে।  ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, গুলশানে ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদ্্ঘাটন করেন ভ্যাট গোয়েন্দারা। প্রতিষ্ঠানটির গুলশান-১-এর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা দেখতে পায়, ই-অরেঞ্জ অনলাইন প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে।

কিন্তু তাদের প্রাপ্ত কমিশনের ওপর আরোপিত ভ্যাট যথাযথভাবে জমা দেয় না। বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ৮ জুন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় প্রতিষ্ঠানের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে হিসাব বিবরণী জব্দ করা হয়, যেখানে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে মোট ২৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার ২১৫ টাকার সেবা ও পণ্য কেনে। ওই সময়ে তারা ২৪৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭১০ টাকার সেবা ও পণ্য বিক্রি করে, যেখান থেকে ই-অরেঞ্জের কমিশন আসে ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৫ টাকা। প্রাপ্ত কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে মোট ভ্যাটের পরিমাণ ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৫ টাকা প্রযোজ্য হলেও প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৭ টাকা পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয়তথ্য গোপন করে সরকারের ১৩ লাখ ১৬ হাজার ১৫৮ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা আরও জানায়, বিক্রয়তথ্য গোপন ও ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে। মামলার প্রতিবেদন এখতিয়ারাধীন ঢাকা উত্তরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট উত্তরে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর