শিরোনাম
শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে নবজাতক ও শিশুরা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নবজাতক ও শিশুরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু আক্রান্তদের পৃথক করে চিকিৎসা দেওয়ার মতো ব্যবস্থাপনা নেই। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু-নবজাতকদের চিকিৎসা। বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালে পৃথক ব্যবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও এ অঞ্চলের বৃহত্তম সেবা কেন্দ্র চমেক হাসপাতালে নেই। জানা যায়, গর্ভবতী মায়েরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক নবজাতকও আক্রান্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকজন প্রসূতি মারা গেছেন এবং কয়েকজন সুস্থভাবে প্রসবও করছেন। চমেক হাসপাতালের  নবজাতক ওয়ার্ড, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এবং ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে প্রায় অর্ধশত নবজাতক ও শিশু। আক্রান্ত অনেক শিশু-নবজাতক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। তবে অন্য শিশু-নবজাতকের সঙ্গে করোনা পজিটিভ নবজাতকের চিকিৎসা দেওয়ায় শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ বলেন, এখন প্রসূতি মায়েরা করোনা পজিটিভ হচ্ছেন। মায়ের কারণে নবজাতকও আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু নবজাতকদের জন্য আলাদা পর্যাপ্ত ওয়ার্ড নেই। তবে এখন নবজাতক ওয়ার্ডে এরই মধ্যে ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আগামীতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, হাসপাতাল ও চেম্বারে পজিটিভ শিশু ও নবজাতক পাওয়া যাচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নবজাতক যদি অপরিপূর্ণ, শ্বাস কষ্ট বা অন্য কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে স্বাভাবিক নিয়মে খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে যাবে।        

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহিম হাসান রেজা বলেন, শিশু হাসপাতালে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ জন পজিটিভ শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত অবস্থায় হাসপাতালে করোনা পজিটিভ শিশুর জন্য পৃথক ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশু আক্রান্ত হলে মাকে সব সময় মাস্ক পরাসহ প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশু মায়ের বুকের দুধ নিজে খেতে না পারলে ফিল্টারে নিয়ে খাওয়াতে হবে। তবে কোনোমতেই বাইরের খাবার যেন না খায়।

জানা যায়, চমেক হাসপাতালের অধিকাংশ রোগীই গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। যাদের প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই। ফলে তাদের শেষ ভরসা এবং আশ্রয়স্থল চমেক হাসপাতাল। কিন্তু এ শ্রেণির মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থলে শিশু ও নবজাতকদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড না থাকায় তারা ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তদুপরি তাদের বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও নেই।

সর্বশেষ খবর