জিওপলেটিক্স-এর কারণে দিন দিন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি সবার আগ্রহ আছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দেশের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ খাতে উন্নতি করছে। বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (বিপপা)-এর সহযোগিতায় এবং ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স (এফইআরবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা : স্থাপিত এবং সরবরাহ সক্ষমতা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমদ কায়কাউস এসব কথা বলেন। এফইআরবি’র চেয়ারম্যান অরুন কর্মকার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, দেশের সব স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা যায় না। আবার ভৌগোলিক কারণে সব স্থানে তেল ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যায় না। ভবিষ্যতের উন্নয়নের সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সম্পর্ক রয়েছে। গ্যাসের ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করতে এখন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করার কথা ভাবতে হবে।
এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক শামীম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা বিদ্যুৎ আমদানির চেয়ে আন্তদেশীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্যে জোর দিতে চাই। এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো প্রতিবেশী অন্য দেশে বিদ্যুৎ বিক্রি এবং ক্রয় করতে পারবে। তিনি বিদ্যুৎ সঞ্চালনে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ম. তামিম। তিনি বলেন, গত এক দশকে বিদ্যুতের পারফরমেন্স ভালো। বিদ্যুৎ উৎপাদনে তিনি দুই, পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায় যেতে বলেন। একই সঙ্গে ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করতে বলেন।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।