শিরোনাম
সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ওমানি পয়সার নোট বিক্রি করে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওমানে রিয়ালের ভগ্নাংশ পাওয়া যায় কাগুজে নোটে। আর এই নোটকে বলা হয় বাইসা। কাগুজে নোট আকারে থাকা বাইসা বা ওমানী পয়সাকে পুঁজি করে প্রতারণা ও জালিয়াতির ভয়ানক কিছু চক্র কাজ করছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ওমানী ১ রিয়াল বাংলাদেশি ২২২ টাকা হিসেবে ১০০ রিয়ালের দাম হয় ২২ হাজার ২০০ টাকা। আর ওমানী ১০০ বাইসা সমান বাংলাদেশি ২২ টাকা।

এই ২২ টাকা দামের বাইসা ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে; এমন একটি প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতার হওয়া দুই সদস্য হচ্ছে মো. আল আমিন ও মো. শাহজাহান সিরাজ। শনিবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার খালপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় আল আমিনের কাছ থেকে ১০০ বাইসার ৪০টি নোট ও ১০ হাজার টাকা এবং শাহজাহানের কাছ থেকে ১০০ বাইসার ১৮টি নোট ও ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সংস্থাটি বলছে, চক্রটি দুই বছর ধরে প্রতারণা করে আসছে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে মাসে অন্তত কোটি টাকা আয় করার বিষয়টি স্বীকারও করেছে।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা জেলার এসপি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ২৩ আগস্ট মো. লুৎফর রহমান নামে এক ব্যক্তি কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা তুলে হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশার চালক তাকে স্যার বলে ডাক দেয়। তিনি অটোরিকশার কাছে গেলে তাকে কয়েকটি বিদেশি মুদ্রার নোট দেখিয়ে কথা বলা শুরু করে। ড্রাইভার ২০/২৫টি বাইসার নোট দেখিয়ে বলে এগুলো একজন যাত্রী তাকে দিয়েছে। ভাঙালে কত টাকা পাওয়া যাবে। এর মধ্যেই অটোরিকশার কাছে আরও দুজন এসে হাজির হন। তাদের একজন ব্যাংকার এবং আরেকজন মানি এক্সচেঞ্জে চাকরি করার পরিচয় দেন। ওই দুই প্রতারক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ড্রাইভারের কাছ থেকে কিছু ওমানি মুদ্রা কিনে চলে যায়। তারা অনেক বেশি দামে ওমানি মুদ্রা বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ হওয়ার কথা জানায়। এখন টাকা না থাকায় পুরো মুদ্রাগুলো নিতে পারেনি। পরে এসে নিবে বলেও জানায়। লুৎফর বিষয়গুলো শুনে তার মনে বিশ্বাস জন্মায়। সে অটোরিকশা চালককে ২ লাখ টাকা দিয়ে ২০টি বাইসার নোট কেনে। সেগুলো বিক্রি করতে গিয়ে জানতে পারে এগুলো ওমানী রিয়াল নয় বরং খুচরা পয়সার নোট বা বাইসা। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ২৭ আগস্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পরে ওই মামলার তদন্তে নেমে পিবিআই আল আমিন ও শাহজাহানকে গ্রেফতার করে।

পিবিআই কর্মকর্তা খোরশেদ বলেন, আসামি আল আমিন এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দলনেতা। তারা দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণা করে আসছে। সহজ সরল মানুষকে সহজেই শিকারে পরিণত করে। পরে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন পয়সার নোটগুলো বিক্রি করে উধাও হয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর