মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় পাবদা মাছ চাষে সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার তেরখাদায় দীর্ঘদিন ধরে গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ হয়ে আসছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ভাইরাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা মহামারীর কারণে চিংড়িচাষিরা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় ২০২০ সাল থেকে তেরখাদায় তিন বিঘা জমিতে পাবদা চাষ শুরু করেন তরুণ উদ্যোক্তা সফিকুর রহমান পলাশ। একই সঙ্গে ঘেরের আইলে মিশ্র সবজি চাষ করেন। এতে রাতারাতি লাভের মুখ দেখেছেন এই উদ্যোক্তা। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক চাষি চিংড়ির বদলে পাবদা চাষ শুরু করেছেন। উদ্যোক্তা সফিকুর রহমান পলাশ জানান, পাবদা চাষে যেমন লাভ হয় তেমনি লোকসানের সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতিও কম।

 চিংড়ি চাষে জমিতে লবণ-পানি প্রবেশ করালে পরিবেশের ক্ষতি হয়। এ কারণে মৎস্য অধিফতরের পরামর্শে তিনি প্রথমবারের মতো পাবদা চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার ১৫ বিঘা জমিতে গলদা ও বাগদা চাষ হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে গলদা ও বাগদা চাষ কমিয়ে তিনি পাবদা চাষ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছেন। জানা যায়, গলদা ও বাগদার তুলনায় পাবদা চাষে লাভ কম। কিন্তু ঝুঁকি কম ও মিশ্র চাষ করে অতিরিক্ত আয় হওয়ায় লাভ কম হলেও কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে।

এদিকে তরুণ এই উদ্যোক্তার সাফল্য অন্যদের উৎসাহিত ও মৎস্যচাষিদের লাভবান করবে বলছেন মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। গতকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে উদ্যোক্তা সফিকুর রহমান পলাশকে সেরা মৎস্যচাষির সম্মাননা দেওয়া হয়। তেরখাদা মৎস্য কর্মকর্তা প্রদিম কুমার বলেন, উপজেলা পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় পাবদা চাষ প্রদর্শনী করা হয়। পরিবেশ ও ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়িচাষিদের লোকসান কমিয়ে আনতে পাবদা চাষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা যায়, সফিকুর রহমান পলাশ একই সঙ্গে খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক। আধুনিক পদ্ধতিতে পাবদা চাষ করে সেরা মৎস্যচাষির সম্মাননা পাওয়ায় তাকে দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর