আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ সব হয়রানিমূলক ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
গত রবিবার নির্বাচন ভবনের গেটে পুলিশ ও ইসির কর্মীরা গণমাধ্যমকর্মীদের হেনস্তা করেন এবং সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল ইসির সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন ইসি বিটে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বর্তমান ও সাবেক নেতারা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিদিনের সংবাদ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম। মানববন্ধনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণে, করোনায় মারা যাওয়া কয়েকজন ইসি কর্মীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএফইউজে কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান, ডিইউজে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আছাদুজ্জামান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সহ-সভাপতি রাশেদুল হক। সমাবেশে বক্তব্য দেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কর আলী শুভ প্রমুখ।
, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদর নূরুল ইসলাম হাসিব, সাবেক ডিআরইউ নেতা শাহনাজ শারমিন।এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের নির্বাহী পরিষদ সদস্য রাজু হামিদ, সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব এবং ইসি বিটের গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) সাবেক নেতা নিয়াজ মোর্শেদ, সাইদুর রহমানসহ অন্য নেতারা। উপস্থিত ছিলেন সচিবালয় বিটের সংগঠন বিএসআরএফ এর কার্যনির্বাহী সদস্য শাহজাহান মোল্লা ও ইসমাইল হোসেন রাসেল ও ফরিদপুর জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন ঢাকার (এফজেএফডি) অমরেশ রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইসি বিটের সিনিয়র সাংবাদিক গাজী শাহনেওয়াজ।
ইসিতে সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ কমিটি গঠন, অবাধে সংবাদ সংগ্রহের নিশ্চয়তা, বাধামুক্তভাবে ইসির ভবনে প্রবেশের অধিকার নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবি জানান সাংবাদিকরা। এর মধ্যে গত ২৯ আগস্ট ইসির গেটে সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ কমিটি গঠন, তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখা এবং হয়রানির ঘটনায় জড়িত ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের প্রত্যাহার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া শুধু ঢাকার নির্বাচন ভবন নয়, ইসির জেলা উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সাংবাদিকদের হয়রানি করেন, নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সারা দেশে সাংবাদিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ইসি ভবনে অবাধ প্রবেশের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় এই প্রতিবাদ সমাবেশে।
