শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাগেরহাটে স্কুলশিক্ষিকাকে ধর্ষণ, স্বামী-সন্তানসহ নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মারধর করে জোরপূর্বক গর্ভের সন্তান নষ্টের চেষ্টার অভিযোগে স্বামী-সন্তানসহ বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক স্কুলশিক্ষিকা। ৩০ আগস্ট সকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকা বাগেরহাট সদর থানায় মামলা করলেও বিষয়টি গোপন রাখা হয়; পরে অবশ্য শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ অবশেষে গতকাল মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- বাগেরহাট শহরের রেলরোডের রেদওয়ান আহমেদ রাতুল (২৯), রাতুলের বাবা ফারুক আহমেদ (৫৮) এবং রাতুলের মা বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভীন আহেমদ (৫০)। বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রেদওয়ান আহমেদ রাতুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকার। সম্পর্কের একপর্যায়ে ১৪ জুলাই শিক্ষিকার ভাড়া বাসায় শারীরিক সম্পর্ক করে রাতুল। পরবর্তীতে ২৩ জুলাই রাতুলের রেলরোডের বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ওই শিক্ষিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় রাতুল। সর্বশেষ ২৯ আগস্ট নিজেকে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা দাবি করে রাতুলের বাড়িতে যায় ওই শিক্ষিকা। সেখানে জোরপূর্বক আবারও ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও মারধর করে রাতুল। বিষয়টি রাতুলের মা বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পারভীন আহমেদ দেখে ফেলেন। তখন ওই শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি রাতুলের মাকে জানান। পরে ওই শিক্ষিকার গর্ভের সন্তান অপসারণ করতে জোরপূর্বক বাগেরহাট শহরের দাসপাড়া মোড়ের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান পারভীন আহমেদ।

একপর্যায়ে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে রাস্তার পাশের দোকানে আশ্রয় নিয়ে ওই শিক্ষিকা আর্তচিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয়রা জড়ো হলে ওই নারী নেত্রী সটকে পড়েন। পরে ৩০ আগস্ট বাগেরহাট মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ওই স্কুলশিক্ষিকা।

এ বিষয়ে জানতে নারী নেত্রী পারভীন আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে বারবার চেষ্টা করেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। যার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগ এনে ওই স্কুলশিক্ষিকা মামলা করেছেন। মামলার পর থেকে রেদওয়ান আহমেদ রাতুল, রাতুলের বাবা ফারুক আহমেদ ও রাতুলের মা অ্যাডভোকেট পারভীন আহেমদসহ সব আসামি পলাতক রয়েছেন। তবে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর