শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘র‌্যাপিড টেস্ট ল্যাব’ সুবিধা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ছুটিতে আসা প্রবাসীরা। বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাত প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত করলেও শুধু বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার সুবিধা না থাকায় কর্মস্থলে যেতে পারছেন না তারা। এদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা শেষ হওয়ার পথে। এ অবস্থায় দ্রুত বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ছুটিতে আসা প্রবাসীদের আমিরাত যাত্রা। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান বলেন, ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট ল্যাব চালুর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’  ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ’ (আটাব)-এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমিরাত প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই হচ্ছে চট্টগ্রামের অধিবাসী। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন জরুরি। দ্রুত সময়ের মধ্যে র‌্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন না হলে প্রবাসীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, একইভাবে ট্রাভেল ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়বে।’

আমিরাতের বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতা বেলাল উদ্দিন রনি বলেন, ‘ছুটিতে দেশে আসা অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকের শেষ হওয়ার পথে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমিরাতে প্রবেশ করতে না পারলে অনেককে চরম বেকায়দায় পড়তে হবে। অনেকের আবার আমিরাতে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বিমানবন্দরগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে র‌্যাপিড টেস্ট চালুর দাবি করছি।’