সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে অভিযান আছে পরিবেশ নষ্টও আছে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পরিবেশ নষ্ট করতে পাহাড় কাটা থেকে শুরু করে কল-কারখানার কালো ধোঁয়া বের হওয়ার নানা আয়োজন-অনুষঙ্গ তো আছেই। একই সঙ্গে চলছে পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানও। কিন্তু নিয়মিত অভিযানের পরও থামছে না পরিবেশ নষ্ট ও দূষণ। ফলে প্রতিনিয়তই ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ। দূষণ হচ্ছে বাতাস। ভারী হচ্ছে প্রকৃতি। কাছে টানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। অভিযোগ আছে, পরিবেশ অধিদফতর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও থামছে না প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য। কখনো দিনে, কখনো রাতের আঁধারে, কখনো প্রশাসনের চক্ষু ফাঁকি দিয়ে, কখনো বৃষ্টির সময় অবাধে চলে পাহাড় কাটা। তাছাড়া অনুমোদনহীনভাবে চলছে পলিথিন কারখানা। কল-কারখানায়ও পরিবেশের নিয়ম উপেক্ষা করে চলছে দূষিত কালো ধোঁয়া নির্গমন। শিল্পকারখানা থেকে বের হয় দূষিত তরল পদার্থ। নগরের বায়েজিদ ও নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় উড়ছে কালো দূষিত ধোঁয়া। পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, পাহাড় কাটা ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে প্রতিনিয়তই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে জরিমানাও করা হয় বড় অঙ্কের। কিন্তু এরপরও যদি কেউ ইচ্ছা করে পরিবেশ দূষণ করে, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় কাটে, তাহলে কী করা যায়। পরিবেশ রক্ষায় মানুষের নিজেরও তো একটা নৈতিক দায়িত্ব থাকার কথা। সবাই যদি পরিবেশ ধ্বংসে মেতে ওঠে, তাহলে এর বিপর্যয়ের মুখে সবাইকে সমানভাবে মুখোমুখি হতে হবে।

জানা যায়, পরিবেশ অধিদফতর নিয়মিতই চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধ করা, পরিবেশ দূষণ করা, বায়ু ও শব্দদূষণ প্রতিরোধ, অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা না থাকা, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা, অনুমোদনহীন পলিথিন কারখানা, কারখানার ইটিপি না থাকা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিবেশ বজায় রাখাসহ নানা ইস্যু নিয়ে অভিযান পরিচালিত হয়। এসব অভিযানে নিয়মিত জরিমানাও করা হয়। গত আগস্ট মাসে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয় ৬৩টি নোটিস প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৪১টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির অনিয়মের বিরুদ্ধে ৩৪ লাখ ৩৪ হজাার ৮০ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা করা হয়। এরই মধ্যে আদায় হয় ৫ লাখ ৫ হজাার ১০০ টাকা। পলিথিনের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় দুটি অভিযান। এ সময় প্রায় ১ টন পলিথিন জব্দ করা হয়।   

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর