মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কাজী আরেফ হত্যা মামলার আসামি রওশন কারাগারে

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল বাকী এবং জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহম্মেদসহ ৮ হত্যা মামলার পলাতক ফাঁসির আসামি রওশন আলীকে মেহেরপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরের দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রওশনকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাসের আদালতে তোলা হয়। বিচারক রওশনকে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে কড়া পুলিশি পাহারায় তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, রওশন তার নাম পাল্টে উদয় মন্ডল নামে ২২ বছর ধরে রাজশাহী এলাকার একটি গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্রেও তিনি উদয় মন্ডল নাম ব্যবহার করে আসছিলেন। র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিতে তাকে আটক করা হয়।

জাসদের প্রতিষ্ঠাতা কাজী আরেফ আহম্মেদসহ জাসদের পাঁচ নেতা এবং মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পীরতলা গ্রামের আবদুল বাকী হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রওশন আলী। এ ছাড়াও রওশন আলী একই এলাকার ভবানীপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন মাস্টার এবং আলম হুজুর হত্যা মামলার আসামি।

কাজী আরেফসহ ৫ জাসদ নেতা হত্যাকান্ডের পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট রওশন আলীসহ ১০ জনের ফাঁসি এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন কুষ্টিয়া জেলা জজ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট হাই কোর্ট ৯ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে। একজনকে খালাস দেয় ও ১২ জনের সাজা মওকুফ করে। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দুজন এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট হাই কোর্টের রায় বহাল রেখেই আদেশ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তদের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয় ৩ আসামির। এরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের হাবিবুর রহমান, কুর্শা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে কারাগারে একজনের মৃত্যু হয় আর বাকিরা পলাতক রয়েছে। এর মধ্যে র‌্যাব রওশন আলীকে আটক করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর