বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পেনশনের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাননি অর্পিত সম্পত্তি তহবিলে আত্তীকৃত কর্মচারীরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

১৯৮৯ সালে জেলা প্রশাসনের ভিপি শাখা থেকে অর্পিত সম্পত্তি তহবিলে আত্তীকৃত কর্মচারীরা দীর্ঘ ছয় বছরেও পূর্ণাঙ্গ পেনশন সুবিধা পায়নি। ২০১৫ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় ‘আত্তীকরণপূর্বক চাকরির ৫০ শতাংশ সরকারি চাকরি’- এ সংক্রান্ত পূর্বের চিঠি বাতিল করে সংশ্লিষ্টদের চাকরিকাল গণনাসহ টাইমস্কেল ও পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশ দিলেও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। জানা যায়, খুলনা নগরীর হাজী ইসমাইল রোডের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান ২০০৪ সালে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পদ থেকে অবসর নেন। তিনি ১৯৬৭ সালে তৎকালীন সাব ডিভিশন মহকুমা অফিসে ভিপি শাখায় অফিস সহকারী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে তাকে জেলা প্রশাসনে ভিপি শাখায় বদলি করা হয়। ১৯৮৯ সালে তাকেসহ অন্যদের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে অর্পিত সম্পত্তি তহবিলে আত্তীকরণ করা হয়। এদিকে ২০০৪ সালে চাকরিতে অবসরের পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ‘আত্তীকরণপূর্বক চাকরির ৫০ শতাংশ সরকারি চাকরি’ এ নির্দেশনায় তার মতো অনেককে পূর্বের চাকরিকালের অর্ধেক গণনা করে পেনশন দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে পূর্ণাঙ্গ পেনশন দাবি করে ভুক্তভোগী ২০ কর্মচারী ২০০৯ সালে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। দরখাস্তকারীদের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সুবিধা প্রদানের রায় দেওয়া হয়। এতে বাদী ওই ২০ জন পূর্ণাঙ্গ টাইমস্কেল পেলেও হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা দরখাস্তকারী না হওয়ায় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। হাফিজুর রহমান বলেন, রায়ের পর ভূমি মন্ত্রণালয় ‘আত্তীকরণপূর্বক চাকরির ৫০ শতাংশ সরকারি চাকরি’ এ সংক্রান্ত চিঠি বাতিল করলেও তার মতো অনেকে পূর্ণাঙ্গ পেনশন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

 পেনশনের টাকা না পেয়ে অনেকে মানবেতর জীবন যাপনও করছেন।’

এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শিকদার রাশেদ কামাল বলেন, ২০১৫ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে রায় ও আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের চাকরিকাল গণনাসহ টাইমস্কেল, আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই চিঠির আলোকে যারা মামলা সংশ্লিষ্ট ছিলেন (২০ জন) তাদেরকেই পূর্ণাঙ্গ পেনশন দেওয়া হয়েছে। আত্তীকৃত বাকি কর্মচারীদের এই সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর