বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রংপুরের ১৯২টি বিদ্যালয়

১৯ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে প্রস্তুত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর বিভাগের ৯ হাজার ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯ লাখ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করছে শিক্ষা বিভাগ। তবে কয়েক দফা বন্যায় রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় ১৯২টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার কাজ চলছে। শিক্ষা বিভাগ বলছে, ১২ সেপ্টেম্বর সরকার ঘোষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয় খোলা হবে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটি বিদ্যালয় ধোয়ামোছা করা হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহামারী করোনার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা ভুলে যেতে বসেছিল। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা উল্লসিত। বিশেষ করে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বেশি উল্লসিত। ওসব শিক্ষার্থীর অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের নতুন পোশাক ও নতুন ব্যাগ কিনে দিয়েছেন। এখন শুধু অপেক্ষা করছেন স্কুল খোলার। রিদিকা নগরীর একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দেড় বছর বন্ধ ওর স্কুলের দরজা। করোনার কারণে ঘরবন্দী ছিল। তবে স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সে খুব খুশি। রংপুর নগরীর কামাল কাছনা এলাকার অভিভবক রফিকুল ইসলাম তার মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে নতুন পোশাক কিনেছেন।

নগরীর ইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ ইয়াসীন নূর হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে কয়েক দফার বন্যায় বিভাগের ৫ জেলায় ১৯২টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধায় ১০২টি, কুড়িগ্রামে ৮৬টি, রংপুরে ১টি, লালমনিরহাটে ৩টি ও নীলফামারীতে ১০টি। তবে শিক্ষা অফিস বলছে, স্কুল খোলার আগেই এসব মেরামত করা হবে। কোনো বিদ্যালয়েই বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মো. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। কোনো স্কুলের মাটি সরে গেছে, আবার কোথাও প্লাস্টার খুলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এলজিইডির মাধ্যমে সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন, বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিতির জন্য কাজ করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর