বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মিসরীয় বিমান লিজে জড়িতদের তলব করেছে সংসদীয় কমিটি

পাঁচ বছরে ক্ষতি ১১০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাত বছর আগে মিসর থেকে ভাড়ায় আনা দুটি বোয়িং চালিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের সুরাহা করতে বিমান দুটি লিজ গ্রহণ ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত বিমানের তৎকালীন সব কর্মকর্তাকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়কে তাদের স্থায়ী কমিটির আগামী বৈঠকে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এ তলব করা হয়। কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, আনোয়ার হোসেন খান, শেখ তন্ময়, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সাত বছর আগে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মিসর থেকে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজ ভাড়া আনে। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চে এবং অন্যটি একই বছরের মে মাসে। এক বছরের কম সময়েই একটি বিমানের একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে উড়োজাহাজটি সচল রাখতে মিসর থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। এবার উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনটিও নষ্ট হয়ে যায়।

সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয় বাংলাদেশ বিমানের। দুটি উড়োজাহাজের জন্য প্রতি মাসে বিমানকে ১১ কোটি টাকা করে ভর্তুকি দিতে হচ্ছিল। এ উড়োজাহাজ দুটি চালিয়ে রাজস্ব এসেছিল ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, আর খরচ হয়েছিল ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয় গত বছরের অক্টোবরে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানায়, দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজের পেছনে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বিমানের ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত দশম সংসদের বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এ বিমান দুটি লিজ নেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর