শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কাজে আসছে না খনন করা খাল

রাজশাহীতে ভাঙছে ঘরবাড়ি সড়ক, মানুষের ভোগান্তি চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

জলাবদ্ধতা দূর করতে ও বর্ষার পানি জমা রেখে সেচ কাজে ব্যবহার উপযোগী করতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) খাল খনন প্রকল্প নেয়। তিন অর্থবছরে রাজশাহীর চার উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছরের জুনে প্রকল্পটি শেষ হয়েছে। কিন্তু কাজে আসেনি ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প। উল্টো প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে অধিকাংশ এলাকায় ভাঙনের মুখে পড়েছে ঘর-বাড়ি। স্থানীয়রা জানান, ভাঙছে ঘর-বাড়ি ও সড়ক। এখনই ভরাট হয়ে যাচ্ছে কিছুদিন আগের খনন করা খালটি।  প্রকল্পের দরপত্র অনুযায়ী খালগুলো তিন থেকে নয় ফুট খনন হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নেওয়া এই প্রকল্পটির কারণে অনেকে বসতি হারাতে বসেছেন। বিএমডিএ সূত্র জানায়, জলাবদ্ধতা দূর করতে ও নদীর পানি সেচের কাজে লাগাতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজশাহীর চার উপজেলায় খাল খননে প্রকল্প নেয়। প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে বাঘা উপজেলার মুর্শেদপুর-নওটিকা খাল ৫.৭০ কিলোমিটার, চাঁদপুর-ব্যাংগাড়ী খাল ১.১১ কিলোমিটার, পুঠিয়া উপজেলার চ্যাংড়ার বিল খাল ১.৩০ কিলোমিটার, চারঘাট উপজেলার মেরামতপুর-পিরোজপুর ২.১০ কিলোমিটার ও চারঘাট-পবা ও পুঠিয়া উপজেলার মাঝ দিয়ে যাওয়া শাহাপুর-কাটাখালী-ছত্রগাছা ১৪.৯২ কিলোমিটার খাল খনন। ইতিমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে শাহাপুর-কাটাখালী-ছত্রগাছা ১৪.৯২ কিলোমিটার খালের পাশে বসবাস করা মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। অনেকের বাড়ি ভেঙে গেছে। কাটাখালী মোল্লাপাড়ার আফাজ উদ্দিন জানান, অপরিকল্পিতভাবে খাল খনন করায় অনেকের বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। অনেকে ঝুঁকির মধ্যে আছেন। জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। উল্টো মানুষ বসতি হারিয়েছে। আগের মতো ভরাট হয়ে গেছে খালটি। মোকসেদ নামের আরেকজন জানান, পদ্মা নদীতে পানি যাতে সহজে চলাচল করতে পারে, সেজন্য খালটি খনন করা হয়েছিল। কিন্তু পানি নামেও না আবার পদ্মা থেকে খালে পানি আসেও না। ফলে শাহাপুর এলাকার মানুষ এখনো আগের মতো জলাবদ্ধতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। খালটি সঠিকভাবে খনন না হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন প্রকল্প পরিচালক নাজিরুল ইসলাম।

তার দাবি, ঠিকাদারকে কাজটি সঠিকভাবে করতে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান বলেন, ‘কৃষকের ও জনগণের স্বার্থ দেখার জন্য বিএমডিএ। জনস্বার্থে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেটি নেওয়া হবে। খালটি সঠিকভাবে খনন করা হয়েছে কি না- তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর