ভারতের আগ্রার বিশ্বখ্যাত তাজমহলের আদলে নির্মিত হচ্ছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ‘আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদ’। উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র নবাবগঞ্জের স্বপ্নপুরীর পাশেই আফতাবগঞ্জ বাজারে নির্মিত হচ্ছে মসজিদটি। ১ বিঘা জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদটি দেখতে তাজমহলের মতো। নির্মাণকাজ ২০১৩ সালের এপ্রিলে শুরু হয়েছে। নির্মাণসংশ্লিষ্ট মিস্ত্রিসহ একাধিক লোককে তাজমহলসহ ভারতের বিভিন্ন মসজিদ পরিদর্শন করানো হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর পাঁচ মাস ধরে নিজের তত্ত্বাবধানে মসজিদটি গড়ে তুলছেন স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারী ও রাজনীতিবিদ দেলোয়ার হোসেন। কোনো বিশেষজ্ঞ আর্কিটেকচার বা ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াই তাঁর নিজের ডিজাইন ও পরিকল্পনায় তাজমহলের অনুসরণে মিস্ত্রিদের দিয়েই নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চার তলা মসজিদের নিচতলায় থাকবে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে থাকবে ধর্মীয় বিভিন্ন গবেষণামূলক বই। পাশেই থাকবে সেমিনার কক্ষ। যেখানে ধর্মীয় বিতর্ক কিংবা আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকবে তাবলিগ জামাত কিংবা জ্ঞানান্বেষণে আসা লোকদের জন্য থাকার সুব্যবস্থা।

 দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তিনটি ফ্লোরে ২০ হাজার স্কয়ার ফিটের এ মসজিদে প্রায় ৫ হাজার লোকের নামাজের ব্যবস্থা থাকছে। তৃতীয় তলায় মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। ১৬টি পিলারের ওপর তৈরি মসজিদে রয়েছে ৩২টি ছোট মিনার। চার কোনায় রয়েছে চারটি সুউচ্চ গম্বুজ। গম্বুজগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ৯৭ ফিট। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্রানাইট, টাইলস, মারবেল পাথর ও বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেয়াল, ছাদসহ মসজিদজুড়ে আরবি ক্যালিগ্রাফি, চাঁদতারাসহ বিভিন্ন নকশা স্থান পেয়েছে। প্রতিদিন কাজ করছেন রাজমিস্ত্রি, টাইলস মিস্ত্রিসহ শতাধিক শ্রমিক।