সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

বিশেষ প্রতিনিধি

মানব ও মুদ্রাপাচারের মামলায় কুয়েতের আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে বক্তব্য জানতে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে একই অভিযোগে ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজুকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। তমাল পারভেজকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে ডেকে উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃতে একটি দল জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বেশ কিছু নথিপত্র জমা দেন ও নিজের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। তার কাছে আরও কিছু নথি চাওয়া হয়েছে। সেগুলো তিনি পরে সরবরাহ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। একই ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির ভাইস-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজুকেও তলব করে দুদক।

আজ ব্যাংকটির পরিচালক মো. আদনান ইমাম ও একে মোস্তাফিজুর রহমানকেও ডাকা হয়েছে বলে জানায় দুর্নীতি বিরোধী এ প্রতিষ্ঠানটি। পাপুল এক সময় ব্যাংকটির পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

দুদক সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালতের অনুমতি নিয়ে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের ৬১৩টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বা অবরুদ্ধ করতে চিঠি দেয় দুদক। ওই চিঠিতে পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের নামে থাকা হিসাবের বিষয়ে ৮টি ব্যাংকের এমডিকে নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়া তাদের নামে থাকা দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৩০ দশমিক ২৭ একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট অ্যাটাচমেন্টের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দেখাতে পারেননি, যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

গত বছরের ৬ জুন কুয়েতের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় পাপুলকে। অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় ২৮ জানুয়ারি তাকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয় কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এ ঘটনায় পাপুলের এমপি পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর