বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির তৃতীয় সভায় নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পারিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের বিষয়ে আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা এবং দেশের বেসরকারি খাতের নেপালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এ সময় নেপালের পক্ষ থেকে বর্তমান সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে ভারতের মাধ্যমে নেপাল থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানির প্রস্তাব করা হয়। গতকাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং নেপালের পক্ষে বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচ সচিব দেবেন্দ্র কার্কি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। নেপাল সরকার সে দেশে সম্ভাব্য যে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চিহ্নিত করেছে তার কোনটিতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে সে বিষয়ে নেপালের চলমান সমীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, নেপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অর্থায়ন ও যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রকল্প চিহ্নিত করা, উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির পথ নির্ধারণ এবং আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে।

 তবে সঞ্চালন লাইনের অংশ বিশেষ ভারতের ভূখে র মধ্যে নির্মিত হবে, ফলে এটি বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।