বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বরিশালে দুই আসামির ফাঁসি চারজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের উজিরপুর পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পোশাক ব্যবসায়ী সোহাগ সেরনিয়াবাত হত্যা মামলার রায়ে দুজনকে ফাঁসি এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয়। বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি এমরান পলাতক এবং অন্য সব আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন নিহতের বাবা এবং বাদী পক্ষের আইনজীবী। অপরদিকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি দাবি করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-উজিরপুরের ‘দাদা বাহিনী’ প্রধান ও পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জিয়াউল হক লালন মহুরী এবং একই উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের রিয়াদ সরদার।

 যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লালনের ভাই মামুন হাওলাদার ও এমরান হাওলাদার, বিপ্লব পাটনী এবং ওয়াসিম সরদার। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- তারেক হাওলাদার, বাবু দাস, শিমুল, সুজন মল্লিক, সোহাগ তালুকদার, আলতাফ হোসেন, সজিব, সুমন মোল্লা, আলমগীর ও বিপ্লব দাস। জানা যায়, সৌদি ফেরত সোহাগ সেরনিয়াবাতের উজিরপুর সদরে আলিফ ওয়ান ফ্যাশন নামে একটি পোশাকের দোকান ছিল। আসামিরা ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সোহাগের দোকান ভাঙচুর করে। এরপরও চাঁদা না দেওয়ায় সোহাগের উপর ক্ষুব্ধ ছিল তারা। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোহাগ দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে তার এক বন্ধু জাহাঙ্গীরকে স্থানীয় কালীখেলায় নামিয়ে অপর বন্ধু সাইফুলকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পৌর শহরের ভিআইপি রোডের হাঁসি ভিলা এলাকায় সোহাগের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে সন্ত্রাসীরা। মোটরসাইকেল থামানোর সঙ্গে সঙ্গে আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহাগকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর সোহাগের মামা খোরশেদ আলম নান্টু বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। একই বছর ১১ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন। তবে ১০ জন আসামি খালাস পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেন নিহত সোহাগের বাবা ফারুক সেরনিয়াবাত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর