শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ডিম-মুরগির সঙ্গে বেড়ে গেছে সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিম-মুরগির সঙ্গে বেড়ে গেছে সবজির দাম

রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগি, ডিম ও সবজির দাম বেড়েছে।  সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির দাম  কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। আর বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে। বেশিরভাগ পণ্যের দর বেড়েছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বাজারেও। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা। সোনালি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮০-৩০০ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৭০-২৮০ টাকা। এর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২২০-২৩০ টাকা। বাজারে মুরগির সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০৫-১১০ টাকার মধ্যে। আর মুদি দোকানে গত সপ্তাহে এক পিস ডিম বিক্রি হয় ৯ টাকা, এখন তা বেড়ে বিক্রি করছেন ১০ টাকায়। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১২০-১৪০ টাকা করে। গাজর ও টমেটোর কেজি বিক্রি করছেন ১০০-১২০ টাকা করে। এ দুটি সবজির দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে দাম বেড়েছে ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢ্যাঁড়শ, পটোল, করলার। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৭০ টাকা। চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। ঢ্যাঁড়শের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ২-৩০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১৫-২০ টাক, কলমি শাকের আঁটি ৫-১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রামে গতকাল বহদ্দারহাট, কাজির দেউরি কাঁচাবাজার, ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী মার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে কিছু কিছু শীতের সবজির দৃশ্য। টমেটো, শিম, ফুলকপি, গাজর, বরবটি, বাঁধাকপি, বেগুন, কাঁকরোল, পটোল, কুমড়া, আলু লতা, লাউ, শসা, কচুসহ নানা ধরনের সবজি। বাজারে আসা প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রয় হচ্ছে বাজার ভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, শিমের দাম দেওয়া হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। অন্য বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঁকরোল ৪০-৪৫ টাকা, দেশি করলা ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, কচু ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৮০-৯০ টাকা, পটোল ৪০-৫০ টাকা, লতা ৪০-৪৫ টাকা, শসা ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচা-মরিচ ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ প্রতিটি ৪৫-৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৪ টাকা কেজি। এখানে লেবু প্রতি ডজন বিক্রয় হচ্ছে ভালোমানের ৬০-৭০ টাকায়। কারণ করোনাকালীন সময়ে লেবুর দাম একটু বেড়ে গেছে বলে অনেকে জানান।

সরোয়ার কামাল নামের একজন ক্রেতা বলেন, সবজির দাম বেশি। তারপরও নতুন সবজি বাজারে এসেছে বেশি দামেই নিতে হচ্ছে। তাছাড়া মাছ, মাংস অন্য বাজারের দামও বেশি। প্রতিদিন বাজারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। নিম্ন-মধ্যবিত্তদের একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের আয় কম, ফলে কষ্টও একটু বেশি হচ্ছে। বেতনের নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে সবকিছুই করতে হয় বলে জানান তিনি। কর্ণফুলী মার্কেটের দুলাল নামের এক বিক্রেতা বলেন, ভালোমানের সবজির দামতো একটু বেশি হবেই। দুই দিনের আগের সবজি হলে কম দাম দিয়েই পাওয়া যাবে। তবে নতুন সবজি বা টাটকা সবজির একটু দাম যেমনি হবে, ঠিক তেমনি রান্নার পর মজাও হবে বলে জানান তিনি। বহদ্দারহাট বাজারের রহিম নামের এক ক্রেতা বলেন, নতুন সবজি বেশি দামেই কিনে আনতে হয়। কিছু দিন পরেই একটু দাম কমবে। কম দাম দিয়ে বিক্রয় করলে গাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ উঠে আসে না বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে মাছের বাজারের অবস্থাও একই রকমের। এখানে মাছ ভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রয় হচ্ছে। সিলভার কার্প ১৬০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৮০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, কই (ফার্ম) ১৫০-২০০ টাকা, দেশি ৩৫০-৪০০ টাকা, ইলিশ ৯০০-১৩০০ টাকা, রুই ২৬০-৩২০ টাকা, কাতল মাছ ২৮০ টাকা, শিং ৩৫০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৩৫-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর