শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঘেরের আইলে সবজি চাষে নতুন সম্ভাবনা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ঘেরের আইলে সবজি চাষে নতুন সম্ভাবনা

খুলনায় ঘেরের আইলে সবজি চাষের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে লবণাক্ত ডুমুরিয়া অঞ্চলে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন ‘লালফুল শিম’ চাষ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মাছ চাষের পাশাপাশি এখানে উৎপাদিত শিম বিক্রি করে অধিক লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের শিম চাষে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে শিম বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঙ্গারদোহা খর্নিয়া ব্লকে ১৮ হেক্টর জমিতে লালফুল জাতের আগাম শিমের আবাদ করেছেন ২৩০ জন কৃষক। এরই মধ্যে ঘেরের আইলের ঝুলন্ত মাচায় শিম আসতে শুরু করেছে। একইভাবে ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৭০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৪ হাজার ঘেরের আইলে শিমের চাষ হয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশ ও নেট দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়েছে। তারপর বাড়ন্ত গাছ মাচার ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অল্প পরিচর্যায় ভালো ফসল পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে শিম চাষে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয় হয়। আর উৎপাদিত শিম বিক্রি করে পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। স্থানীয় কৃষক আজিজুল ইসলাম জানান, ‘অফসিজনে এখন শিমের দাম অনেক বেশি। এখন থেকে প্রায় আট মাস ধরে শিম পাওয়া যাবে। লাভ বেশি হওয়ায় এখন সবাই আগাম শিম চাষে ঝুঁকছেন।’ ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোসাদ্দেক হোসেন জানান, অফসিজনের শিমের দাম বেশি থাকায় এবার ডুমুরিয়ায় কৃষকরা কয়েক কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এটা খুবই সম্ভাবনাময় ফসল। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লালফুল শিম চাষিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে গত ১২ সেপ্টেম্বর ডুমুরিয়ায় মাঠ পরিদর্শনে এসে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চাষিদের লাভজনক উৎপাদন ব্যবস্থা দেওয়ার পাশাপাশি সবজি বিদেশে রপ্তানি ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, লবণাক্ত এলাকায় বোরো ধান চাষের পর প্রতি বছর চাষযোগ্য অসংখ্য জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। বর্তমানে ঘেরের আইলে আগাম সবজি চাষ নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর