২০১৩ সালে সরকারি অর্থায়নে ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। প্রকল্পের আওতায় চার লেনের সড়ক, ডিভাইডার, লাইট ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় প্রথম দফায় প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি করা হয় ১২৬ কোটি টাকা। সাত বছর পর ২০২০ সালে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় প্রায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫৯ কোটি টাকা হয়েছে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানে সমন্বয়হীনতার কারণে এখনো সড়কটি নির্মাণে দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়নি। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে শিপইয়ার্ডের সামনে দিয়ে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কটির পিচ পাথর খোয়া উঠে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন এ পথে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এদিকে গতকাল শিপইয়ার্ড বান্ধাবাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে এক মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলেন, কেডিএ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকায় কাজ শুরু হচ্ছে না। মানববন্ধনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), রাজনৈতিক কর্মী, বাজার সমিতির নেতা-কর্মীসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেয়। ৩১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. সাইফুল ইসলাম, নিসচা নেতা মাহবুবুর রহমান মুন্না, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফ হোসেন মিঠু, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রেক্সোনা কালাম লিলি।