মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিতরণ কোম্পানির টাকায় গ্যাসের মিটার স্থাপনের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বলেছে, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য এখন আর বিদেশি অর্থায়নের প্রয়োজন নেই। দেশের গ্যাস বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নেই এ কাজ করা সম্ভব। তাই দেশি গ্যাস কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নে প্রিপেইড মিটার বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটি একই সঙ্গে দ্রুত প্রত্যেক গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার সুপারিশ করে। এ ছাড়া গত বছর কৈলাসটিলা প্লান্ট থেকে রশিদপুর প্লান্টে কনডেনসেটের তেলের পরিবর্তে পানি সরবরাহসংক্রান্ত অনিয়ম সম্পর্কে দ্রুত দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করে কমিটিকে অবহিত করার তাগিদ দেওয়া হয়। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আলী আজগার, নুরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য সিএনজি স্টেশনগুলোয় রেশনিং করা হচ্ছে। এজন্য প্রিপেইড মিটার জরুরি। আমাদের গ্যাস কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা রয়েছে। তাদের যে আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে তাতে নিজস্ব অর্থায়নেই প্রিপেইড মিটার বসাতে পারবে। এর জন্য কোনো উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তার দরকার নেই। এটা করতে পারলে গ্যাসের সাশ্রয় হবে।’

এদিকে বৈঠকে উপস্থাপিত গত ফেব্রুয়ারির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর কৈলাসটিলা এমএসটিই প্লান্ট থেকে রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে কনডেনসেটের পরিবর্তে পানি সরবরাহসংক্রান্ত গুরুতর অনিয়ম হয়। তখন বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন কনডেনসেট খালাসের সময় সাড়ে ৪ হাজার লিটার কনডেনসেটের পরিবর্তে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ লিটার পানি পাওয়া যায়। ওই ঘটনার পর তদন্ত শেষে কনডেনসেট বহনকারী লরির চালককে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। লরি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। গতকাল জানানো হয়, ওই ঘটনা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্তাধীন। তাই কমিটি দুদকরে তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহের তাগিদ দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর