পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে প্রেস ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চলমান আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর ঘাতক হিসেবে দন্ডিত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে তার দন্ড কার্যকর করতে সক্ষম হব বলে আমি সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করি। সবাই জানেন যুক্তরাষ্ট্রের লিগ্যাল প্রসেস সময়সাপেক্ষ। তবে এর আগেও দন্ডিত আরেকজন ঘাতককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তাকে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। রাশেদ চৌধুরীকেও একই পথে যেতে হবে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় দেন-দরবার অব্যাহত রেখেছি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক আমেরিকায় বসবাসের আলোকে বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা খুব কড়া এবং শাস্তিও কড়া। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে বছরখানেক জেল খাটার পরই গুরুতর অপরাধীকেও প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় না। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, গত বছর এই দেশেও পুলিশের গুলিতে ১ হাজার ৪ জন নিহত হয়েছে। বাংলাদেশে তেমন কোনো ঘটনা নেই। বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেছিল অধিকার ২০১৮ সালে। সে বছর ১৮ জনের মৃত্যু হয় বলে তারা অভিযোগ করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার কোনো তথ্য বাস্তবে নেই। কর্তব্য পালনের সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লেও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা রয়েছে। কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা যথাযথ শাস্তি পেয়েছেন। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কর্নেল মর্যাদার অফিসারও রয়েছেন। অর্থাৎ বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বরদাশত করা হয় না বাংলাদেশে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফরের আলোকে দৈনন্দিন প্রেস ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে স্থাপিত বাংলাদেশ মিশনের কন্ট্রোল রুমে আয়েজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি এহসানুল করিম হেলাল এবং বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূর এলাহী মিনা উপস্থিত ছিলেন।
