সপ্তাহের চতুর্থ দিনে দরপতন দিয়ে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজার লেনদেন। সব কটি মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। সিএসইতে লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে। লেনদেনের ৩০ মিনিটের মাথায় সূচক বাড়ে ৪৭ পয়েন্ট। এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা কিছুটা কমলেও প্রথম দুই ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকে। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টায় এসে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে টানা নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে যেখানে ২৫০-এর বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে, সেখানে দিনের লেনদেন শেষে দাম বাড়ার তালিকায় টিকে থাকে ১২৫টি।
বিপরীতে ২০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ২৪১ পয়েন্টে নেমে গেছে। সব কটি সূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৫০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯১০ কোটি ৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৪০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যাকসন স্পিনিং। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ১৭১টির এবং ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।